এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > আর কোনো ঝুঁকি নয় – চতুর্থ দফা থেকেই ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইঙ্গিত কমিশনের

আর কোনো ঝুঁকি নয় – চতুর্থ দফা থেকেই ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইঙ্গিত কমিশনের


লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই “রাজ্যে গণতন্ত্র নেই” – এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে এবারের নির্বাচনে প্রতিটি বুথেই যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া যায় তার জন্য আবেদন জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলো। সেইমতো নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের এই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করলেও সমস্ত বুথে এসেই কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিরোধীদের।

এমনকি সদ্য সমাপ্ত তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটে গত ২৩ শে এপ্রিল মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় একজন ভোটারের মৃত্যুকে ঘিরে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা অবনতির প্রসঙ্গটি ফের ফিরে আসতে শুরু করে। আর এমত একটা পরিস্থিতিতে আগামী ২৯ শে এপ্রিল চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে বীরভূমের মত জেলাও, যেখানে বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল অসংখ্য।

আর তাই অতীতের তিনটি দফার নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার চতুর্থ দফার নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট করতে প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের জন্য ৫৫৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মজবুত রাখার সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি কোনো জায়গায় যদি কোনোরূপ গন্ডগোল হয় তার জন্য বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে চতুর্থ দফার নির্বাচনে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৫৮০ কোম্পানির মত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈঠক করেন বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব, রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তা এবং বিএসএফের আধিকারিকেরা। মূলত এবারে চতুর্থ দফার নির্বাচনে রাজ্যে যে সমস্ত কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার বেশিরভাগই সীমান্ত লাগোয়া। ফলে ভোটের সময় সীমান্তের ওপার থেকে যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী এপারে না আসতে পারে এবং কোনোরূপ অশান্তি যাতে না হয় তার জন্যও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার নির্বাচনে যে সকল আসনে নির্বাচন হতে চলেছে তার মধ্যে অন্তত চারটি আসনের দায়িত্ব তৃণমূলের তরফে দেওয়া আছে দলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মন্ডলকে। যিনি এর আগে একাধিকবার প্রকাশ্যেই বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন, আমেরিকা থেকে ফোর্স নিয়ে এলেও তাঁকে ভোট করানো থেকে কেউ আটকাতে পারবেন না! ফলে সব মিলিয়ে এবার চতুর্থ দফা ভোটের আগে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের আধিকারিকেরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!