এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ২০১৯ এর লক্ষ্যে বাংলায় নতুন পার্টি অফিস খুলছে বিজেপি

২০১৯ এর লক্ষ্যে বাংলায় নতুন পার্টি অফিস খুলছে বিজেপি


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মুরলীধর সেন লেনএ বর্তমান কার্যালয় সাথেই আরো একটি দলীয় কার্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রাজ্য বিজেপির। উল্লেখ্য ২০১৪ সালের শেষ লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশে বিজেপি শিবির ভালো ফল করলেও এই রাজ্য থেকে গেরুয়া শিবিরের বরাতে জুটেছিলো শুধু আসানসোল এবং দার্জিলিং (গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট করে) এর দুটি আসন। এই বিজিত আসন সংখ্যার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই কলকাতায় নতুন কার্যালয়ের সন্ধানে রয়েছে বিজেপি। যদিও রাজনৈতিক সমালোচকদের মতে বিজেপি শিবিরের নতুন কার্যালয় স্থাপনের প্রচেষ্টা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। কারণ সাম্প্রতিক কালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল তালিকা লক্ষ্য করলেই দেখা যাচ্ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং বাম শিবিরকে টক্কর দিয়ে কংগ্রেস এবং বাম শিবির কে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পরের স্থানেই রয়েছে বিজেপি ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

যা কিনা এ পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম। কিন্তু সমস্যা হলো ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে সেই এক্স ফ্যাক্টর টা ঠিক খুঁজে পাচ্ছেনা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। জানা যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকের জন্যে রাজ্য নেতৃত্ব অধিকাংশ সময়েই শহরের নামী হোটেলর অতিথিশালা, সভাগৃহ বা পার্টি কর্মীদের বাসভবনকে পছন্দ করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। শুধু তাই নয় দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে নতুন কার্যালয় স্থাপন হলেই দলের বর্তমান কার্যালয় টিও একই ভাবে বজায় থাকবে। এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বললেন, ”কী হবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে নতুন অফিস হবে।” এখন কথা হলো কোথায় হবে বিজেপির এই নতুন কার্যালয়। দলের অভ্যন্তরীন আলোচনায় দলের অধিকাংশ রাজ্য স্তরের নেতাই
নতুন কার্যালয় স্থাপনের বিষয়ে সমর্থন করলেও । কেউ কোনো নির্দিষ্ট জায়গা প্রস্তাব করেনি বলেই জানা যাচ্ছে। তবে নতুন কার্যালয়ে স্থাপনের ক্ষেত্রে অবশ্যই রয়েছে কতকগুলি জরুরী শর্ত যেমন নতুন কার্যালয়ে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন মানুষের একত্রে জমায়েতের ঘেরা জায়গা থাকবে, উন্নত ইন্টারনেট পরিষেবা, সাংবাদিক সম্মেলন করার জায়গা, রাজ্য নেতৃত্বের বসার কক্ষ, ই-লাইব্রেরি এবং দলীয় কর্মীদের সম্বেত হওয়ার স্থানও থাকতে হবে। সূত্র মোতাবেক জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই দলের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় গাড়ি কেনা এবং দলীয় জেলা কার্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। দলের পরিকল্পনা আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই দলের নয়া সাংগঠনিক ভূমিকা এবং দলীয় কর্মীদের নতুন উদ্যোমী মেজাজে দেখতে চলছে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!