এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > লক্ষ্য ২০১৯ – কৃষক-যুবদের কাছে টানার পর তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে নতুন পরিকল্পনা বিজেপির

লক্ষ্য ২০১৯ – কৃষক-যুবদের কাছে টানার পর তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে নতুন পরিকল্পনা বিজেপির


আগামী বছর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে পশ্চিমবঙ্গে সাফল্য পাওয়ার নয়া রনকৌশল গেরুয়া শিবিরের। জানা যাচ্ছে কৃষক ও যুবাদের পর রাজ্যের তপশিলী জাতি, উপ জাতি, এবং অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে আগামী দিনে সভা করবে বিজেপি দল। শুধু তাই নয় দলের প্রস্তাবিত এই  প্রকাশ্য সমাবেশগুলিতে পশ্চিমবঙ্গে আসার সম্ভবনা রয়েছে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ’র ।

গেরুয়া শিবিরের গোপণ সূত্র থেকেই এই পরিকল্পনার বিষয়ে জানা গিয়েছে। গেরুয়া শিবির রাজ্যে দলের ভোটব্যাঙ্ক সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যেই মূলতঃ এই রণকৌশল নিয়েছে । সেই কারণেই তফসিলী জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি এবং আদিবাসীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রাজ্যের ‘বঞ্চনা’ করার অভিযোগ তুলে সোচ্চার হতে চাইছে তারা। গত ১৬ ই জুলাই মেদিনীপুরে কৃষকদের নিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশের পরে আগামী ৩ রা অগষ্ট কলকাতায় দলের যুব সংগঠনের এক সমাবেশের আয়োজন হতে চলেছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পরিকল্পনা অনুয়ারী সেই সমাবেশে অংশ গ্রহণের কথা রয়েছে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাজনৈতিক মহলের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজ্যে দলের এই সমস্ত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বিজেপি’র অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত দলের সহনেতা সুরেশ পূজারি বললেন, ”  বিভিন্ন ইস্যুতে একের পর এক প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা আমাদের ঘোষিত সিদ্ধান্ত। আপাতত আমরা কৃষক এবং যুব সম্প্রদায়রে সমাবেশকেই পাখির চোখ করছি। তা মিটলেই এসসি-এসটি-ওবিসি’দের নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া হবে। তারপর সামনে আসবে দলিত-আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এজেন্ডাগুলি। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং অনেক পড়াশোনা করেও বাংলার যুবক-যুবতীরা যে চাকরি পাচ্ছেন না, বেকারত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেটিও বিজেপি’র অন্যতম তৃণমূল কংগ্রেস-বিরোধী আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।”

এছাড়াও এদিন সুরেশ পুজারী পরিষ্কার ভাষায় বললেন, এবার থেকে অমিত শাহ নিয়মিতভাবে বাংলায় আসবেন । এই সংক্রান্ত প্রতিটি প্রকাশ্য সমাবেশেই তিনি প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও একাধিকবার আসবেন। তাঁদের সঙ্গেই প্রতিটি জনসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোন মতেই একটাও সুযোগ ছাড়তে রাজী নয় গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গতঃ তফসিলী জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী এবং আদিবাসী, সহ সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনদের রাজ্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিকেই এক্ষেত্রে হাতিয়ার করতে ইচ্ছুক গেরুয়া শিবির।

তাদের মতে  এই সম্প্রদায়ের লোকেরা যেখানে সরকারি চাকরিতে ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ পাওয়ার দাবিদার সেখানে এই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত সরকার মাত্র ৭% সংরক্ষণ দিচ্ছে। দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির উল্লেখ করে তার সাথে পশ্চিমবঙ্গবাসীর নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তুলনামূলক আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দলের এক রাজ্য নেতা বললেন , ২০০১ সালের জনসমীক্ষা অনুসারে বাংলায় ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪২ শতাংশ। আর রাজ্যের জনসংখ্যার এই অংশকে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্ভূক্ত করা হয় তাহলে প্রতিপক্ষ দলগুলির তুলনায় বিজেপি দল বেশ অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!