এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হাইকোর্টে ডিও/বিএলও মামলার রায়ের আগে বড়সড় পদক্ষেপ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের

হাইকোর্টে ডিও/বিএলও মামলার রায়ের আগে বড়সড় পদক্ষেপ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের


আগামী মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩ টের সময় বহু প্রতীক্ষিত রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের ডিও/বিএলও মামলার রায়দান হওয়ার কথা বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে। আগের দিনের শুনানি অনুযায়ী সেদিন আর কোনো সওয়াল হবে না সরাসরি রায়দান হবে, কিন্তু কোন কোন মহল থেকে মনে করা হচ্ছে যে সেদিন আরেকপ্রস্থ সওয়ালের সম্ভাবনা রয়েছে। সেদিন রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীরা নতুন কোন প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে পারেন এই মামলায়।

আর তার আগে এই মামলায় এক বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে এই মামলার অন্যতম আয়োজক শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। সংগঠনের অন্যতম শীর্ষনেতা মইদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে ঠিক করেছিলাম এই মামলার রায়দানের আগে যে সকল প্রাথমিক শিক্ষক এই ডিও, বিএলও বা সুপারভাইজারের ডিউটি করতে অনিচ্ছুক তাঁদের সকলকে নিয়ে আমরা সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশন দপ্তরে গিয়ে, এই ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আবেদন জমা দেব। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় দূরের জেলার শিক্ষকদের অনেকেই অসুবিধার সম্মুখীন হবেন – তাছাড়া একদিন এইভাবে ছুটি নিয়ে এসে আবেদন জমা দেওয়ার মাধ্যমে আরো অনেক শিক্ষকই অসুবিধার মধ্যে পড়তে পারেন।

মইদুলবাবু আরো জানান, আর তাই সরাসরি নির্বাচন কমিশন দপ্তরে এসে আবেদন জমা দেওয়ার বদলে আমরা সংশ্লিষ্ট সমস্ত শিক্ষকদের অনুরোধ জানাচ্ছি, যাঁরা এই ডিও, বিএলও বা সুপারভাইজারের ডিউটি করতে অনিচ্ছুক তাঁরা যেন মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ইমেল আইডিতে (ceo-election-wb@nic.in) তাঁদের এই অব্যাহতির জন্য আবেদন পাঠিয়ে দেন। যে ফরম্যাটে তাঁরা ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট এসডিও বা বিডিওকে আবেদন জমা দিয়েছেন, সেই একই ফরম্যাটে তাঁরা যেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন দপ্তরের অফিসিয়াল ইমেল আইডিতে আবেদন পাঠান।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই পদক্ষেপ? জবাবে মইদুলবাবু জানান, অত্যন্ত সংবেদনশীল এই মামলার শুনানিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, যদি কোন শিক্ষক এই ডিউটি থেকে অব্যাহতি চাইতেন তাহলে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হত। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, যে সমস্ত শিক্ষক নিজের নিজের সংশ্লিষ্ট এসডিও বা বিডিওকে এই আবেদন পাঠিয়েছেন তাঁদের ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে ‘পুরোনো’ আইন দেখিয়ে এবং সেই শোকজ লেটারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে কেন আইপিসির ৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? অর্থাৎ একদিকে আদালতে দাঁড়িয়ে একরকম বক্তব্য রাখছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী – কিন্তু অন্যদিকে, সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে হেঁটে উল্টোরকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা!

মইদুলবাবুর আরো বক্তব্য, আমাদের কাছে যা খবর আছে তাতে এইভাবে প্রায় ৩৫০ শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। আপনারা জানেন, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক ঐতিহাসিক রায়ে, কলকাতা হাইকোর্ট ইমেলে পাঠানো মনোনয়ন গ্রহণ করেছেন। সুতরাং, আমরাও আশা রাখছি যে এই ডিও, বিএলও বা সুপারভাইজারের ডিউটি করতে অনিচ্ছুক শিক্ষকদের পাঠানো ইমেলের আবেদনও আদালতে গ্রাহ্য হবে। তাছাড়া সেদিন যদি রায়দানের আগে নতুন করে প্রসঙ্গ উত্থাপন হয়, তাহলে আমরা আদালতের সামনে তথ্য সহকারে বক্তব্য পেশ করতে পারব যে এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষক এই ডিও, বিএলও বা সুপারভাইজারের ডিউটি করতে অনিচ্ছুক হয়ে আবেদন করেও প্রশাসনিক চাপে এই ডিউটি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে আমরা আশা করছি – এই আবেদনের ভিত্তিতে আমাদের মানবিক রায় পাওয়া ও এই ‘যন্ত্রনা’ থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ সুগম হবে। আর তাই অতি অবশ্যই করে সংশ্লিষ্ট সমস্ত ইচ্ছুক শিক্ষক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ইমেলে মঙ্গলবার দুপুর ২ টার মধ্যে এই ইমেল-আবেদন করতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!