এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রত-গড়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা – ঘাস-পদ্ম তীব্র সংঘর্ষে আহত ৫, শুরু তল্লাশি, বসল পুলিশ পিকেট

অনুব্রত-গড়ে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনা – ঘাস-পদ্ম তীব্র সংঘর্ষে আহত ৫, শুরু তল্লাশি, বসল পুলিশ পিকেট

ফের উত্তপ্ত বীরভূম! তৃণমূল -বিজেপি সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির শিকার মল্লারপুর থানার ঝিকোড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের আলাইপুর গ্রাম। নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে আনন্দ করাকে কেন্দ্র করেই দুই যুযুধান গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা বাঁধে। তার জেরেই এই ঘটনা। উভয়পক্ষেরই পাঁচজন জখম হয়েছেন এই ঘটনার জেরে।

আপাতত তাঁরা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মল্লারপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এই ঘটনার পরের দিন ন’জন বিজেপি কর্মীর নামে থানায় ডায়েরি করে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। আপাতত পুলিশ পিকেটিং চলছে গ্রামে। এমনটাই জানালেন মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক রায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের তৃণমূল কর্মী হরিপদ বাগদির সঙ্গে তাঁরই কাকার ছেলে অসীম বাগদির পারিবারিক বিবাদের কথা অজানা নয় কারো। অসীম বাগদি সম্প্রতি গ্রামেরই কিছু যুবককে নিয়ে বিজেপি করতে শুরু করে। ঘটনার দিন নবান্ন উৎসব উপলক্ষ্যে কালীমন্দির চত্বরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নাচার সময় তৃণমূল সমর্থকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করায় বিমান বাগদি,লাল্টু বাগদি নামে দুই তৃণমূল সমর্থক প্রতিবাদ করতে এলে তাঁদের বেধড়ক মারধোর করা হয়,এমনটাই অভিযোগ।

এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল দুই পক্ষেরই সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই সময়ই হরিপদ বাগদির বাড়িতে খাচ্ছিলেন ময়ূরেশ্বর-১ ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি কাজল সাহা। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বিজেপি কর্মী সদস্যদের আঘাতে আহত হন হরিপদ বাবু এবং তাঁর দুই আত্মীয়। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ই লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধোর করা হয় তাঁদের। পরে পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আক্রান্ত হরিপদ বাবু বলেন,’গ্রামের সকলে মিলে আনন্দ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাদের সমর্থকদের গালিগালাজ করে। পরে আমাকে মারতে আসে।’ তৃণমূল নেতা কাজল সাহার বক্তব্য,তিনি হরিপদ বাবুর বাড়িতে নবান্নের নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিলেন। তৃণমূল কর্মীদের মারধোরের খবর পেয়েই উঠানে গিয়ে দেখতে পান হরিপদ সহ আরো দু’জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। শুধুমাত্র নাচতে যাওয়ায় বিজেপির আক্রমণের শিকার হয়েছে তৃণমূল। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগে এমনটাই জানালেন তিনি।

তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবী করলেন এলাকার বিজেপি নেতা তথা দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, গত শনিবার মল্লারপুরে অনুব্রতর সভায় গ্রামের সকলকে যাওয়ার জন্য হুইপ জারি করেছিল তৃণমূল। কিন্তু বিজেপির সমর্থকরা না যাওয়ায় প্রতিশোধ নিতে বিজেপির সমর্থকরা আনন্দ করার সময় তাদের উপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধ করলে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তবে অাকষ্মিকভাবে এই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা অসীম বাগদি এবং তাঁর অনুগামীরা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ফলত তাঁদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের তল্লাশি জারি রয়েছে,এমনটাই জানা গিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে ঘটনা পর যেহেতু বিজেপি নেতা-কর্মীরা আত্মগোপন করেছেন,তাই স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল উঠছে তাঁদের দিকে। অভিযোগে সরব জেলা এলাকার জোড়াফুলশিবির। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!