এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অভিষেকের কারণেই বিজেপিতে যাচ্ছেন বিধায়করা! বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা, জেনে নিন দাবি কেন্দ্রীয় নেতার

অভিষেকের কারণেই বিজেপিতে যাচ্ছেন বিধায়করা! বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা, জেনে নিন দাবি কেন্দ্রীয় নেতার

মুকুল রায়ের তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই পট পরিবর্তন হয় বঙ্গ রাজনীতিতে। দিলীপ ঘোষ বিজেপি সভাপতি হবার পর রাজ্যে বিজেপি বিধান সভা নির্বাচনে তিনটি আসন পেলেও রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পর থেকেই।

মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পর থেকেই বার বার দাবি করেছিলেন তৃণমূল থেকে একা তিনি নন আসবেন অনেকেই। তৃণমূল ছাড়া নিয়ে তিনি মুখে কিছু না বললেও দলের অন্দরে বাইরে ঘোরাফেরা করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তাঁর কারণেই নাকি দলে সম্মান না পেয়ে এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকুল রায়। যদিও মুকুল বাবু বার বার অভিষেকবাবুকে ‘বাচ্চা ছেলে’ তকমা দিয়েছেন। ও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তাঁর কাছে অভিষেক গুরুত্ত্বহীন। তাঁর আসল লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

এর পর লোকসভা ভোটের আগে দল বদল করেছেন বিষ্ণুপুরের ২০১৪-র তৃণমূল সাংসদ ও বর্তমান বিজেপি সংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি সরাসরি দলবদলের পর দাবি করেছিলেন যে ‘পিসি-ভাইপোর’ কোম্পানি’তে পরিণত হয়েছে তৃণমূল। সাথেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে লোকসভা ভোটকের ফলাফল খারাপ হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের যুবরাজ তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে একের পর এক পোস্ট দেখা গেছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। আর এদিন ফের একবার অভিষেকবাবুকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীও।

প্রসঙ্গত, বার বার বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে তৃণমূলের নেতা – বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চান। এই নিয়ে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যে ৪০ জন বিধায়ক বিজেপির সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। এদিকে সংখ্যাটা বাড়িয়ে দিলেও একই দাবি উঠে এসেছে রাজ্যের অন্য বিজেপি নেতাদের মুখেও। অর্জুন সিং, মুকুল রায় এর হাত ধরে এরপর যোগ দিয়েছেন একের পর এক বিধায়ক, কাউন্সিলররা। আর এই দল ভাঙ্গানো এখনো অব্যাহত।

এদিন সর্বভারতীয় এক দৈনিকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেন এক ঝাঁক বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, নির্ধারিত সময়ে ভোটের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে যাবে।কিন্তু কেন তৃণমূল বিধায়করা বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন? এই নিয়ে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানান যে, বর্ষীয়ান নেতারা অনেকেই নেত্রী ও তাঁর ভাইপোর উপর অসন্তুষ্ট।আর তার কারণ নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতিরিক্ত অভিষেক প্রীতি।

তিনি এই নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, “তৃণমূলের অনেক শীর্ষনেতাই মনে করছেন। মমতার পরবর্তী হিসেবে উঠে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই নাকি দলের উত্তরাধিকার হচ্ছেন। এটাই প্রবীণ নেতাদের কাছে আশঙ্কা এবং ক্ষোভের কারণ। অভিষেকের কাছে অনেক শীর্ষনেতাকে রিপোর্ট করতে হয়, যেটা দলের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করছে। ”

এদিকে এই নিয়ে জোর শোরগোল পরে গেছে রাজনৈতিকমহলে। তাদের দাবি অভিষেককে নিয়ে এই দাবি তুলে তিনি তৃণমূলের অন্দরেই আরো ঝড় তুলে দিলেন। তবে এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও কর্মী সমর্থকরা দাবি করছেন যে তৃণমূল থেকে শুধুমাত্র জঞ্জালরা যাচ্ছে অন্য কেউ যাচ্ছে না। তৃণমূল যাদের দল থেকে ফেলে দিচ্ছে তারাই বিজেপিতে যাচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের নয়নের মনি তাঁর উপর কারুর কোনো ক্ষোভ নেই। তিনি নেত্রীর মতোই মাটির কাছেই থাকেন।

অন্যদিকে পাল্টা বিজেপির দাবি তাই যদি হয় তবে ভোটার রেজাল্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টগুলো কি তবে , আর অত্যাচার নেত্রীই বা কেন তাঁর দানা ছাটলেন। রাজনৈতিকমহলের মতে, কৈলাশ বিজয়বর্গীও যা বলছেন তা কথা যদি সত্যি হয় তবে এখনো সাবধান না হলে বড়সড় ধাক্কা পেতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!