যোগী আদিত্যনাথের পাল্টা সভা বাতিলই করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! ভয় পেয়েছে বলে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিশেষ খবর রাজ্য February 2, 2019 লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই কখনও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, কখনও বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আবার কখনও বা ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে রাজ্যে পদ্ম ফোটানোর চেষ্টা করছেন বঙ্গ-বিজেপির মুকুল রায়, দীলিপ ঘোষরা। কিন্তু রাজ্যের মাটিতে বিজেপি পদ্ম ফোটানোর চেষ্টা করবে, আর তাতে চুপ করে থাকবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তাই কখনো হয়? আর তাইতো যেখানে যেখানে বিজেপি তাদের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের দিয়ে সভা করছে, তার পাল্টা সভা হিসেবে ঠিক সেইখানেই নিজেদের হেভিওয়েট নেতা- মন্ত্রীদের দিয়ে সভা করাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবারে ব্যাপারটি একটু আলাদা। আগামী ৫ ই ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার ২ নম্বর ব্লকের ভাঙ্গা গ্রামে জনসভা করতে আসছেন বিজেপির উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুত্বের পোস্টারবয় বলে পরিচিত যোগী আদিত্যনাথ। আর সেই একই দিনে পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকে সভা করার কথা ছিল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর দুই দলের দুই হেভিওয়েট নেতার এই সমাবেশকে ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক উত্তাপে ফুটতে শুরু করেছিল পুরুলিয়া। কিন্তু হঠাৎই তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভা স্থগিত করার খবরে কিছুটা যেন ব্যাকফুটে স্থানীয় শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশের প্রশ্ন, যেখানে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে বিজেপির পাল্টা সভা করার কথা বলে দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন, ঠিক সেখানেই কেন বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের পাল্টা সভা হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার দিনক্ষণ স্থির করেও তা থেকে পিছিয়ে আসল তৃনমূল কংগ্রেস? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, আসলে ভয় থেকেই তৃনমূল তাঁদের এই সভার দিনক্ষণ স্থগিত করে দিয়েছে। আর তাই নিয়ে এবার শাসকদলের নেতা-কর্মীদের চোখা-চোখা কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এদিন এই ব্যাপারে বিজেপির পুরুলিয়া জেলা যুব সভাপতি বিবেক রঙ্গা বলেন, “দেখুন যোগীজীর সভা হলে অভিষেক ব্যানার্জিও সভা করত। কিন্তু যদি একই জায়গায় দুজনের সভা হয় তাহলে তো সব থেকে বেশি লোক যোগীজীর সভাতেই যাবে। গোটা ভারতবর্ষে ওনার ফলোয়ার ১ লক্ষেরও বেশি। তাই একই দিনে সভা করলে তৃণমূল জিরো হয়ে যেত। তাই ভয় পেয়েই তাঁরা সভা ভেস্তে দিতে বাধ্য হল”। যদিও, এর পাল্টা হিসাবে কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বাতিল হল তা বিশদে জানায়নি শাসকদল। ফলে, তাহলে কি বিজেপির এই দাবি সত্যিই যুক্তিযুক্ত! এখন সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে পুরুলিয়ার রাজনীতিতে। আপনার মতামত জানান -