এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > রবীন্দ্রনাথের পরে ডানা ছাঁটা হল এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার, জোর জল্পনা রাজ্যে

রবীন্দ্রনাথের পরে ডানা ছাঁটা হল এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার, জোর জল্পনা রাজ্যে

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 42 টি লোকসভা কেন্দ্রই দখল করার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে নেত্রীর এই শ্লোগান বাস্তবে রূপায়িত করতে পারেননি রাজ্যের সিংহভাগ জেলার তৃণমূল নেতারাই। আর তাইতো গত 2014 সালে তৃণমূল বাংলা থেকে 34 টা আসন পেলেও এবার তাদের ভাগ্যে জোটে মোটে 22 টি আসন।

অন্যদিকে বিজেপি 18 টি আসন পেয়ে বর্তমানে তৃণমূলের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। এদিকে ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকেই কেন বিভিন্ন জেলায় খারাপ ফলাফল হল, তার জন্য নিজের সৈনিকদের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই ঠিকমতো তাদের ভূমিকা পালন করেননি এই তথ্য তার কাছে আসলে কিছুদিন আগেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে হারের পেছনে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে সভাপতি এবং সেই রবি ঘোষেরই বিরোধী বলে পরিচিত পার্থপ্রতিম রায়কে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

যার জেরে অনেকেই বলতে শুরু করেন যে, কোচবিহার জেলায় দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর মূল দায়িত্বে থাকা রবি ঘোষ ঠিকমতো তার দায়িত্ব পালন না করাতেই তার ওপর রুষ্ট হয়ে তার ডানা ছেটেছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে শুধু রবীন্দ্রনাথ ঘোষই নয়, উত্তর 24 পরগনা জেলায় এবার তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত প্রেস্টিজ ফাইট হিসেবে পরিচিত ব্যারাকপুর এবং বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়লাভ করায় এবং বর্তমানে একের পর এক পৌরসভা গেরুয়া শিবিরের দখলে যাওয়ায় এবার সেখানে বড়সড় রদবদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এই উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে তার দলীয় পদে বহাল রাখলেও সংগঠন দেখভালের জন্য জেলার পাঁচ নেতার মধ্যে দায়িত্ব বন্টন করে দিলেন তিনি। যার মধ্যে দমদমে মন্ত্রী তাপস রায়, ব্যারাকপুরে নির্মল ঘোষ, বারাসাতে রথীন ঘোষ, বসিরহাটে কৃষ্ণগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বনগায় গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের বলে পরিচিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে পদ না কেড়ে নিলেও যে ভাবে সারা জেলায় সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি করতে বিভিন্ন নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাতে যে ভাই বালু (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) সম্পর্কে তৃণমূল নেত্রীর কিছুটা হলেও আস্থা কমেছে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। তবে এই ব্যাপারে বিরোধীদের তরফে অবশ্য তৃণমূলের কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, নেতা পরিবর্তন করেও আর কোনো লাভ হবে না।

মানুষ তৃণমূলের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে সময়ই সব কথা বলবে বলে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। আর এই দুই রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক তরজার মাঝেই এবার বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই যেভাবে গোটা উত্তর 24 পরগনা জেলাজুড়ে তৃণমূল ভাঙতে শুরু করেছে, তাতে কিছুটা হলেও তার দায় বর্তেছে সেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপর। আর তাই তো একা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপর ভরসা না-রেখে এবার জেলার সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উত্তর 24 পরগনার অন্তর্গত সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন নেতাদের দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!