এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একদিকে অমিত শাহ, অপরদিকে যোগী আদিত্যনাথ – আজ মালদা জুড়ে গেরুয়া ঝড়ের আশায় বিজেপি সমর্থকরা

একদিকে অমিত শাহ, অপরদিকে যোগী আদিত্যনাথ – আজ মালদা জুড়ে গেরুয়া ঝড়ের আশায় বিজেপি সমর্থকরা


আজ মালদহে জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততা রয়েছে জেলা বিজেপি শিবিরে। বেলা ১২ টা নাগাদ পুরানো মালদহের নিত্যানন্দপুরের জনসভার প্রধান বক্তা হিসাবে যোগ দেবেন তিনি। আর তারপরেই অন্য একটি জনসভায় হিন্দুত্বের ঝড় তুলতে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

কাজেই একদিকে অমিত শাহ অন্যদিকে যোগী আদিত্যনাথের মালদায় সভা করাকে কেন্দ্র করে গোটা জেলা জুড়ে আজ গেরুয়া প্লাবনের আশা করছেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। মালদায় অমিত শাহের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি।

তার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও অমিত শাহের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখাশোনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ অমিত শাহের নিরাপত্তা বিষয়ে তেমন কিছু মন্তব্য না করলেও জানান,একজন জেড প্লাস শ্রেণীর নিরাপত্তাপ্রাপ্ত ব্যক্তির সুরক্ষা প্রদানে যা যা করনীয় সবটাই করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অমিত শাহের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বললেন,’জনসভার জন্য মালদহে যাচ্ছেন অমিত শাহ। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়াটা জেলা পুলিসের দায়িত্ব। তবে দলের সভাপতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিজস্ব নিরাপত্তা বলয় রয়েছে।’

তৃণমূল প্রস্তাবিত সর্ব ভারতীয় ব্রিগেড সমাবেশের ঠিক দুটি বাদেই রাজ্যে বিজেপি ফের প্রচারমূলক সভা করতে শুরু করল। আর তাও জনসভার মুখ্যবক্তার ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথেরও আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

কাজেই সভা থেকে বিরোধী জোটের উদ্দেশ্যে দলের সর্বভারতীয় কর্তা কী বার্তা দেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে একটি কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি রথযাত্রার দীর্ঘ আইনি লড়াইতেও হার হয়েছে বিজেপির। শত চেষ্টা করেও বাংলার মাটিতে রথ নামানোর অনুমতি পেল না দিলীপ ঘোষেরা। তাই রথযাত্রার বিকল্প হিসাবেই ‘গনতন্ত্র বাঁচাও’ কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। মালদা থেকেই সেই কার্যক্রম আজ শুরু করছে বিজেপি।

উল্লেখ্য,অমিত শাহের হেলিকপ্টার কোথায় নামবে তা নিয়ে চূড়ান্ত চাপানউতোর ছিল দলের অন্দরে। ছিল অনিশ্চয়তাও। কারণ প্রথমে মালদহ বিমানবন্দরে হেলিপ্যাড তৈরি করার আবেদন করা হলেও বিমানবন্দরে সংস্কারের কাজ চলছে এই অজুহাত দেখিয়ে বিজেপির সে আর্জি খারিজ করে দেয় জেলা প্রশাসন। বিকল্প হিসাবে হেলপ্যাডের জন্যে নারায়ণপুরে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এছাড়া নারায়ণপুরেরই একটি হোটেলের মাঠও হেলিপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করার জন্য চেষ্টা শুরু হয় জেলা বিজেপি’র পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্ত আদৌ সেই চেষ্টা সফল হবে কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত টানাপোড়েন ছিল জেলা বিজেপি শিবিরে। তবে হাল ছাড়েনি জেলার গেরুয়াশিবির কর্তারা। গতকাল দুপুর ২ টো নাগাদ হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা সংক্রান্ত অনুমতির জন্য আবেদন পত্র নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনে ছুটে আসেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় কর্ম সমিতির সদস্য শ্যামচাঁদ ঘোষ এবং জেলা বিজেপি’র প্রবীণ নেতা গোবিন্দ মণ্ডল। তাঁরা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন হেলিপ্যাড ব্যবহারের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষের সম্মতিপত্র। কিন্তু আবেদনপত্রের সঙ্গে ছিল না প্রয়োজনীয় দমকল,শুল্ক এবং পূর্তবিভাগের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র। এগুলি জেলা প্রশাসন চিহ্নিত করে দিলে ফের সেগুলো জোগাড় করতে ছুটতে হয় জেলা বিজেপি কর্তাদের।

অবশেষে হেলিপ্যাড তৈরির নিশ্চয়তা মিললে হাফ ছেড়ে বাঁচে বিজেপির কর্মকর্তারা। তবে এই হেলিপ্যাড তৈরিতে প্রশাসনের অসহযোগী আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং জেলা সভাপতি সঞ্জয় মিশ্র। টেলিফোনে দিলীপ বাবু বলেন,শুধুমাত্র রাজ্যে বিজেপির কর্মসূচি বানচাল করার জন্যে এরকম আচরণ করছে তৃণমূল। হোটেলও হেলিপ্যাড তৈরি হয়ে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করা হয়নি।

উপায় না পেয়ে বিএসএফের হেলিপ্যাডের সাহায্য নিতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, প্রশাসনের অসহযোগী আচরণের জন্য বিএসএফ এবং হোটেলের পাশে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এনটিপিসি’র হেলপ্যাড ব্যাবহারের কথাও একসময় ভাবা হয়েছিল। কিন্তু দুটি জায়গার দূরত্ব এবং যানজটের কথা ভেবে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

তবে অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) পালদেন শেরপা বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকেই ওদের নথি পেতে সাহায্য করা হয়েছে।’ অন্যদিকে, গতকাল বিকালে পূর্ত দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা ওউ হোটেলর জমি তদারক করতে গিয়ে লক্ষ্য করে ওই জমি হেলপ্যাড হিসাবে ব্যবহার করতে হলে সেখানেও বেশ কিছু সংস্কার দরকার।

এখন এই প্রেক্ষিতে সমালোচকমহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে,অমিত শাহের মতো একজন জাতীয় নেতৃত্বের সভার জন্যে কেন আরো আগের থেকে প্রস্তুতি নেয়নি বিজেপি? কেন শেষ মুহূর্তে এতো তৎপরতা? এ জবাবে জেলাবিজেপি সভাপতি জানান,গত শুক্রবারই অমিত শাহের সভা চূড়ান্ত হওয়ার পর সভার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছিল। এর মাঝে শনি,রবিবার পড়ে যাওয়ায় ছাড়পত্র পেতে সমস্যা হয়েছে। উল্লেখ্য, মালদহের জনসভা করার পর বাগডোগরা হয়ে আজই দিল্লি ফিরে যাবেন অমিত শাহ,এমনটাই জানা গেল বিজেপি’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহার সূত্র থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!