এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ছাড়ছেন না হুঙ্কার, এড়িয়ে চলছেন সংবাদমাধ্যমকে, দিদির “কেষ্টা”র হাবভাবে বিজেপি যোগের জল্পনা, কি বললেন অনুব্রত

ছাড়ছেন না হুঙ্কার, এড়িয়ে চলছেন সংবাদমাধ্যমকে, দিদির “কেষ্টা”র হাবভাবে বিজেপি যোগের জল্পনা, কি বললেন অনুব্রত

একসময় চড়াম চড়াম ঢাক, গুড় বাতাসা এবং নকুলদানার দাওয়াই দিয়ে খবরের শিরোনামে আসতে দেখা গেছে তাকে। কিন্তু লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির পর সেই বীরভূম জেলার “কুকথার স্টার পারফরমার” বলে পরিচিত অনুব্রত মন্ডলের হম্বিতম্বি তেমনভাবে চোখে পড়ছে না কারোরই।

একসময় যিনি বিরোধী নেতাদের উদ্দেশ্যে চোখ রাঙিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতেন এবং তাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা প্রত্যক্ষ হুমকির অভিযোগ তুলতেন, সেই নেতাই এখন কার্যত সাবধানে বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা।

অনেকে বলছেন, হঠাৎ করে কি হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় ভাই কেষ্টর! তবে এই প্রশ্নের উত্তর কেউ না পেলেও বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা আসন তৃনমুল নিজেদের দখলে রাখলেও বেশ কিছু জায়গায় তাদের পরাজিত হতে হয়েছে। আর সেই ফল প্রকাশের পর থেকেই কয়েকদিন তিনি রাজনীতি থেকে বিশ্রাম নেবেন এবং স্ত্রী, মেয়েকে সময় দেবেন বলে জানিয়ে দিয়ে আড়ালে চলে গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।

এদিকে অনুব্রতবাবু কিছুটা আড়ালে চলে যাওয়ার পরই এই বীরভূম জেলা তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করে। মনিরুল ইসলাম, গদাধর হাজরা, নিমাই দাস ও প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা বিজেপিতে যোগদান করেন। তাহলে কি প্রকাশ্যে সেই আগের দাপট দেখতে না পাওয়া অনুব্রত মণ্ডল এবার অন্য কিছু ভাবতে চলেছেন! তিনি ও কি তাহলে এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দেখুন আমার এখানে কোনো সমস্যা নেই। বিজেপির যদি সত্যিই বাড়বাড়ন্ত থাকত, তাহলে দুবরাজপুরে আমাদের মিছিলে 40 হাজারের মত লোক থাকত না। যারা সিপিএমের হার্মাদ তারাই বিজেপিতে যাচ্ছে। আর বিজেপির তরফ থেকে সত্যিই আমার কাছে কোনো প্রস্তাব আসেনি।”

কিন্তু গত শুক্রবার সাঁইথিয়ার ডাকবাংলা মোড়ে প্রকাশ্য সভায় সেই বিজেপির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। যেখানে ভোটের আগে তার রূপ প্রত্যক্ষ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সেই হেভিওয়েট নেতা ভোটের ফল প্রকাশের পর কেন এতটা নমনীয় হয়ে গেলেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূমের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল ভেবেছিলেন তার ডায়লগগুলো ভোটের বাজারে হিট হবে। কিন্তু মানুষ ওগুলো খায়নি। তাই দিদি হয়তো ওকে এখন চুপ থাকতে বলেছে। বিজেপি এখন অপারেশন অনুব্রততে জোর দিচ্ছে। কারণ এটা সফল হলে দক্ষিণবঙ্গের একটা বড় অংশ তাদের হাতে চলে আসবে বলে বিজেপি মনে করছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটের ফলাফল প্রকাশে বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা আসন তিনি নিজেদের দখলে রাখলেও নিজের ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন পৌরসভায় সেই তৃণমূল পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে অনুব্রত মণ্ডলের দক্ষ সংগঠকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। আর তাই এবার কোনোরূপ বিতর্কিত মন্তব্য না করে সাবধানে পথ চলতে চাইছেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!