এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বাবুল সুপ্রিয়কে হারাতে ভরসা মুনমুন সেন, দায়িত্বে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী

বাবুল সুপ্রিয়কে হারাতে ভরসা মুনমুন সেন, দায়িত্বে দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী


লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই গতকাল তড়িঘড়ি করে ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিল তৃণমূল। শিল্পশহর আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়কে টক্কর দিতে তৃণমূলের ভরসা এবার মুনমুন সেন। আগামী ১৭ মার্চ রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মলয় ঘটককে সঙ্গে নিয়ে আসানসোলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারে নামছেন মুনমুন সেন।

এই প্রচার কর্মসূচিতে কেন্দ্রের সমস্ত দলীয় বিধায়ক এবং পদাধিকারীরা যোগ দেবেন।আশ্রম মোড় থেকে গীর্জা মোড় পর্যন্ত হওয়া ওই মিছিলে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কয়েক হাজার কর্মী মিছিলে পা মেলাবেন। বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল আগামী ১৬ মার্চ আনুষ্ঠানিক প্রচার মিছিল হবে।

পরে দিন পরিবর্তন করে ১৭ মার্চ করা হয়। পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন দাসু বলেন,’১৭ মার্চ প্রার্থী নিজে উপস্থিত থাকবেন। তবে, আমরা ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছে। মানুষ আমাদেরই সমর্থন করবেন।’

দলীয় সূত্রের খবর, এবার তৃণমূল রাজ্যসরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জনস্বার্থমুখী দিক গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার দিকটাকেও হাইলাইট করবে। গত লোকসভা নির্বাচনে আসানসোলের শিল্পায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। ক্ষমতায় আসার চার বছরের বেশি অতিক্রম হয়ে হয়ে গেলেও এখনো সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা রূপনারায়ণপুরের হিন্দুস্থান কেবলস এবং বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নতুন কোনও শিল্পও জেলায় গড়ে ওঠেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এসব অভিযোগকে সামনে রেখেই প্রচার কর্মসূচি জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি দেওয়াল লিখনের মাধ্যমেও বিজেপি সরকারের প্রকৃত স্বরূপ আমজনতার সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোড়াফুল শিবির। এই প্রচার কর্মসূচিতে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং শিল্পাঞ্চলের সমস্ত নেতা একজোট হয়ে অংশগ্রহণ করবে বলেই ঠিক করেছেন। দলের পুরানো নেতাদেরও এই প্রচার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্যে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তৃণমূলের বক্তব্য,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে শিল্পাঞ্চলে রাস্তা সংস্কার,পথবাতি বসানো,নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি পানীয় জলের সংকটও মিটেছে। কুলটির পানীয় জলের সমস্যা বহুবার বিজেপিকে জানানে হলেও সে সমস্যার সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাজ্যসরকারের উদ্যোগে এই সমস্যা থেকে নিস্তার মেলে বাসিন্দাদের।

এগুলো প্রচারে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল। এছাড়া গত লোকসভা ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর, কুলটি, বারাবনি এবং আসানসোল বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের মতো করে রণকৌশল ঠিক করেই ময়দানে নামছে তৃণমূল। পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘উন্নয়নমূলক কাজ দেখে মানুষ আমাদের ভোট দেবেন। তৃণমূলের প্রতীকে যেসব প্রার্থী লড়ছেন, তাঁরা সকলেই জয়ী হবেন।’

শিল্পশহরে তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিও প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে ছোট ছোট কর্মসূচি স্থির করেছে তাঁরা। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে তাঁরা। এদিনও অণ্ডালের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছিল। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করছে না বিজেপি। একথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। আর সেইজন্যেই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে তারা।

তবে প্রচারমূলক বড় কর্মসূচি প্রার্থী ঘোষণার পরে হবে বলেই জানা গিয়েছে বিজেপি সূত্রের খবরে। তবে,যেহেতু তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তাই আগামী ১৭ মার্চ থেকে আসানসোলে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,সারাবছরই ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে তৃণমূলের। শুধু ভোটের সময়ই তাঁরা থাকেন না। জনতা যে তৃণমূলের পাশে রয়েছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই তাঁর। তাই জয়ের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী,এমনটাই জানালেন তাপসবাবু।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!