এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাঁকুড়ায় খরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য হাজির মুখ্যমন্ত্রীর ‘দূত’

বাঁকুড়ায় খরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য হাজির মুখ্যমন্ত্রীর ‘দূত’

উৎসবের মরশুমেই মাথায় হাত বাঁকুড়ায় চাষীদের! জেলার অধিকাংশ এলাকাই খরায় আক্রান্ত। চাষীদের কথা ভেবেই খরা কবলিত এলাকা খতিয়ে দেখতে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

বাঁকুড়ার জেলাশাসকের অফিস লাগোয়া মাইনোরিটি ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে প্রদীপ বাবুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহ সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল, জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস, উপকৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) সুশান্ত মহাপাত্র প্রমুখরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীঘ্রই বাঁকুড়া সফরে আসতে পারেন বলে জানান তিনি। তিনি এসেই চাষীদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

খরা কবলিত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন তিনি এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা যাতে শস্যবিমার সুবিধা পান তার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। বৈঠক শেষে তিনি জানান, “এ বছর কম বৃষ্টির কারণে পূর্ব বর্ধমান,বীরভূম এবং বাঁকুড়ায় আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মূলত উঁচু জমির ধান জলের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আমরা এদিন বৈঠক করেছি। তবে এখনই ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।”

কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর,বাঁকুড়ায় প্রায় ১ লক্ষ হেক্টর আমন ধান জমি খরার শিকার পর্যাপ্ত জলের অভাবে। খরার কারণে অর্ধেকের বেশি জমিতে খরার সম্ভাবনা হ্রাস পেয়েছে। জেলার ৫০০ টি মৌজার ধান গাছ কার্যত শুকিয়ে নষ্ট হয়েছে। বহু জায়গায় গবাদি পশু নামিয়ে ঘাসের মতো ধান খাইয়ে জমি পরিষ্কার করা হচ্ছে। কেউ কেউ বাড়ির গোরু,ছাগলের জন্যে আগাছা হিসাবে ধান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। হাজার হাজার টাকার ধান এভাবে মাঠে নষ্ট হওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছে খরা কবলিত এলাকার চাষীরা। এই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সরকারিভাবে খরা ঘোষণার দাবীতে দফায় দফায় আওয়াজ তুলছে চাষীরা।

এদিনের বৈঠকে শালতোড়া পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি সুস্মিতা কবিরাজ জানান,ব্লকের সিংহভাগ মৌজার ধানই শুকিয়ে গিয়েছে। চাষীদের এই চরম দুর্দশার দিনে ব্লক এলাকায় স্থায়ী সেচের পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবী জানান তিনি। অন্যদিকে ছাতনার বিডিও শাশ্বতী দাস জানান,তাঁদের ব্লকে ভূগর্ভস্থ জলস্তর এতোটাই নেমে গিয়েছে যে নলকূপ এবং সাবমার্সিবলে জলে উঠছে না।

এছাড়া ব্লক এলাকায় ৩০ টি চেকড্যাম রয়েছে যেগুলি দীর সংস্কারের অভাবে জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। একই অবস্থা সরকারি বড় জলাশয়গুলিরও। শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গন্ধেশ্বরী নদীর জল সেচের কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিলে চাষিদের সুবিধা হবে বলে পরামর্শ দেন তিনি। ইন্দপুর, শালতোড়া, মেজিয়া প্রভৃতি ব্লকের বিডিওরা পাথুরে জমিতে গভীর নলকূপ খননের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিষয়টিও বৈঠকে উপস্থাপন করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শুভাশিস বাবু জেলা পরিষদের আওতায় থাকা জলাশয়গুলি থেকে চাষীদের জল পেতে সমস্যা হওয়ার কথা জানান। নিলামে নেওয়া মাছ চাষীরা সেচের জল দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এই প্রেক্ষিতে মৎস্য চাষীদের সমস্যা সৃষ্টি করতে বারণ করেন প্রদীপবাবু এদিন। অন্যদিকপ,সভাধিপতি খাতড়া মহাকুমায় আরো কিষানমান্ডি গড়ে তোলার দাবী জানান। বৈঠকে জেলার অব্যবহার্য কিষণা মান্ডিগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়ার জন্যে বলেন। উষ্মাও প্রকাশ করেন কয়েককোটি টাকা খরচের পরেও ছাতনার কিষাণ মান্ডির গেট না খোলার জন্যে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই সমস্যার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের মুখ চেয়ে বসে আছেন ভুক্তভোগী চাষীরা। আশা করা হচ্ছে জনদরদী নেত্রী চাষীদের চরম দুর্দিন থেকে মুক্তি দেবেন। লোকসভা ভোটের আগে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার এ সুযোগ তৃণমূল সুপ্রিমো নষ্ট করবে না বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!