বাগরি মার্কেটে আগুন নেভানোর উন্নত ব্যবস্থার নাম “আইওয়াশ” করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ কলকাতা রাজ্য September 19, 2018 বাগরি মার্কেটের অগ্নিকান্ডকে ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। মার্কেটের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নত করার নাম করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দু বছর ধরে ১০ হাজার, কখনো ১৫ হাজার কখনো আবার ২০ হাজার টাকা আদায় করছে মালিক কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানা গেল মার্কেটের এক দোকানি রঞ্জিত দেবনাথের সূত্র থেকে। এমনকি সে টাকা নেওয়ার রসিদও রয়েছে প্রমাণস্বরূপ। ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে অভিযোগে আরো জানানো হয়েছে, এতো বড় একটা মার্কেটে বিধ্বংসী আগুন লাগলে তা নেভানোর জন্য বিল্ডিং এর জলের ট্যাঙ্কে কোনো জল ছিল না। অন্য বিল্ডিং থেকে জল এনে আগুন নেভানোর ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবী,বাগরি মার্কেটে আগুন নেভানোর উন্নত ব্যবস্থার নাম করে ‘আইওয়াশ’ করা হয়েছে তাঁদের। প্রসঙ্গত,গত শনিবার রাত ২ টো নাগাদ ভয়াভয় আগুন লেগে যায় বাগরি মার্কেটে। এতো বড়ো একটি মার্কেটে অগ্নিনির্বাপক কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। অথচ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নত করার নাম করে ব্যবসায়ীদের থেকে হাজার হাজার টাকা নিয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীদের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বাগরি মার্কেটের বিল্ডিং এর ছাদে ৫০০০ হাজার লিটার জল ধরবে এমন প্রায় ৭-৮ টি জলের ট্যাঙ্ক আছে। কিন্তু আগুন নেভানোর সময় জলের খোঁজ করে দেখা গেল তাতে এক ফোঁটাও জল নেই। প্রায় ৬-৭ মাস ধরে সেগুলো খারাপ হয়ে পড়ে থাকলেও মালিক কতৃপক্ষ সেগুলো সারানোর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেয়নি। কিন্তু বছর বছর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার নাম করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করে গিয়েছে তাঁরা। আরো জানা গিয়েছে,আগুন নেভানোর জন্য আনা হাইড্রোলিক ল্যাডার কাজে লাগানো যায়নি। কারণ ওখানে রয়েছে প্রচুর ইলেক্ট্রিক তার। এই তারের জন্যেই কাজ করতে পারেনি ল্যাডার। এ প্রসঙ্গে মার্কেটের ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ পালের প্রশ্ন, “পুজোর সময় আমরা দেখি তার কেটে ঠাকুর নিরঞ্জন দেওয়া হয়। ট্রাম লাইনের তার কেটেও নিরঞ্জন দেওয়া হয়। তাহলে কেন এখানে তার কেটে ল্যাডার কাজে লাগানো গেল না?” তাছাড়া বাগরি মার্কেটে ঘিঞ্জি হওয়ার ফলেও আগুন নেভাতে ভালোই বেগ পেতে হয়েছে দমকলকে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এ প্রসঙ্গেও রামকৃষ্ণ পালের যুক্তি,বাগরি মার্কেটকে ঘিঞ্জি বলা হলেও আসলে সবথেকে ঘিঞ্জি বড়বাজার মার্কেট। আর সবথেকে বড় কথা, এখানে ৬ টি গেট, ৫ টি সিঁড়ি এবং মার্কেটের সামনে ৩২ ফুট চওড়া রাস্তা থাকলেও আগুন নেভানোর কোনো কাজেই আসেনি এগুলো। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে এই মার্কেটের,এমনটাই বক্তব্য সিংহভাগ ব্যবসায়ীর। “আইওয়াশ” করে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ তুলেছে তাঁরা এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেবে সেদিকেই নজর রয়েছে বাগরি মার্কেটের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের আপনার মতামত জানান -