এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিডিওকে পেটানোয় 2 প্রধান সহ 3 তৃণমূল নেতার নাম উঠলেও “খুঁজে” পাচ্ছে না পুলিশ!

বিডিওকে পেটানোয় 2 প্রধান সহ 3 তৃণমূল নেতার নাম উঠলেও “খুঁজে” পাচ্ছে না পুলিশ!


প্রশাসন এবং তৃণমূল দল এক হয়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করতে দেখা যেত রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। এমনকি প্রশাসনের ওপর শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা দাদাগিরি করছে বলেও অভিযোগ করত একাংশ।

যদিও বা প্রশাসন প্রশাসনের মত এবং দল দলের মত করে চলছে বলে বরাবরই জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এই দাবি করলেও সম্প্রতি সন্দেশখালি ব্লকের বিডিওকে মারধরের ঘটনায় এবার দুই প্রধান সহ তিন তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে পড়ায় শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি 2 ব্লকের বিডিও কৌশিক ভট্টাচার্যের অফিসে ঢুকে তৃণমূলের কিছু নেতা সেই বিডিওকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুতর জখম সেই বিডিওকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার বিকেলের দিকে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় সেই আক্রান্ত বিডিও কৌশিক ভট্টাচার্য্য বেড়মজুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা, সন্দেশখালি পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ মল্লিক, সন্দেশখালি 2 পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সহ বেশ কয়েকজনের নামে থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আক্রান্ত বিডিওর অভিযোগ, “আমি কোনো অন্যায় বা দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ না করাতেই আমার উপর এরকম নির্মম ভাবে হামলা চালানো হল। আমি সবরকম তদন্তের সম্মুখীন হতে প্রস্তুত। আমি চাই এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক। মুখ্যমন্ত্রী সহৃদতার সঙ্গে বিষয়টি দেখুন।”

অনেকে বলছেন, একটি সরকারি প্রকল্পে আর্থিক গরমিল ধরা পড়ায় অভিযুক্তরা বিডিওকে এই গরমিলে মদত দিতে বললে এবং বিডিও তাতে রাজি না হওয়াতেই এই অশান্তির সূত্রপাত। এদিকে আক্রান্ত বিডিও ইতিমধ্যেই একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত তাদের কাউকে গ্রেফতার না করায় সেই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে বসিরহাটের পুলিশ সুপার শবরী রাজকুমারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি 2 ভিডিও কৌশিক ভট্টাচার্য মারধরের অভিযোগ করলে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সরকার আমাদের, প্রশাসন আমাদের। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেউ জড়িত নয়। প্রধানরা নানা কাজে বিডিও অফিসে যান। তাদের উপস্থিতিতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। আমরা পুলিশকে যারা প্রকৃত দোষী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।”

কিন্তু জ্যোতিপ্রিয়বাবু মুখে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন বলে আশ্বাস দিলেও বিডিওর অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের ধরতে না পারায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় উঠছে নানা প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!