এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কোন পথে মোদিকে হঠাতে চান বাংলার মানুষ জানতে এবার কলকাতা সফরে হেভিওয়েট নেতা

কোন পথে মোদিকে হঠাতে চান বাংলার মানুষ জানতে এবার কলকাতা সফরে হেভিওয়েট নেতা


বাংলায় মোদি বিরোধিতায় প্রধান মুখ তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু বাংলা নয়, গোটা ভারতবর্ষেও এই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু যেহেতু সেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের কিছুটা আপত্তি রয়েছে তাই এবারে বাংলার মানুষ 2019 সালে ঠিট কিভাবে কেন্দ্রে পরিবর্তন চান তা জানতে রাহুল গান্ধীর নির্দেশে আগামী 8 নভেম্বর রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই 8 নভেম্বর এবারে নোট বন্দির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি। আর তাই সেইদিন এই কলকাতায় এসে মৌলালী যুব কেন্দ্রে অর্থনীতি, জিএসটি, কর, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করার ইচ্ছা রয়েছে কংগ্রেসের এই কেন্দ্রীয় নেতার। তবে শুধু সমাজের বিশিষ্টজনেরাই নয়, নিচু তলার খেটে খাওয়া মানুষেরা ঠিক কী প্রত্যাশা করে কেন্দ্রের কাছে তা জানতে কুলি, মজুরদেরও সেই সভায় যাতে উপস্থিত রাখা যায় সে কারণেই একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে।

কিন্তু বর্তমানে যেভাবে এই রাজ্যে কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ অব্যাহত, তাতে সেই লোক বল জোগাড় করতে আদৌ কতটা সক্ষম হবেন বঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র তা নিয়ে একটা সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। তবে পি চিদাম্বরমের মত হেভিওয়েট নেতা যখন রাজ্যে আসছেন তখন সেই সভাকে মাত করতেই হবে। আর তাই এ ব্যাপারে এখন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলেছেন এআইসিসির রিসার্জ বিভাগের সচিব রনজিৎ মুখোপাধ্যায়।

তবে শুধু পি চিদাম্বরমই নয়, নারী সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে রাজ্যের মানুষের মত কি! তা জানতে রাজ্যে আসার কথা রয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত সন্তোষ মহোন দেবের কন্যা বর্তমানে আসামের সাংসদ এবং সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেবেরও। এদিকে বাংলার মানুষের মন জানতে এবং ইশতেহার তৈরি করতে যখন রাজ্যে আসছেন পি চিদাম্বরম এবং সুস্মিতা দেবরা ঠিক তখনই সাধারণতন্ত্র দিবসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারতে আসার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান, ছত্রিশগড়ে মাওবাদী হামলা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সমালোচনা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনায় সরব হলো কংগ্রেস হাইকমান্ড।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর এদিন ওআইসি সদর দপ্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, “সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যাকে বিশেষ অতিথির আমন্ত্রণ জানানো হয় তার উপস্থিতি নিশ্চিত করেই তাকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী তো রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে ছবি তোলাকেই কূটনীতি মনে করেন।” অন্যদিকে রিজার্ভ ব্যাংকের সাথে যেভাবে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি জানান এই কংগ্রেস নেতা। সব মিলিয়ে 2019 এ কেন্দ্র থেকে মোদিকে সরাতে এবার ময়দানে কংগ্রেস হাইকমান্ড।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!