লোকসভা ভোটের পরই নানা সময় উত্তপ্ত হতে দেখা গেছে একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ভাটপাড়াকে। যে ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে সরব হয়েছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা তথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। কিন্তু তারপর বেশ কিছুদিন সেই ভাটপাড়ায় শান্তি বজায় ছিল। তবে এবার ফের গতকাল সেই ভাটপাড়ায় বোমা-গুলির লড়াইয়ে রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়।

বস্তুত, এই ভাটপাড়ায় একটি পৃথক থানা উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই থানা উদ্বোধন হওয়ার আগেই সেখানে চরম অশান্তি সৃষ্টি হয়। গুলি চালনায় মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির। আর এরপরই এই গোটা ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। প্র

তিটি বাড়িতে গিয়ে পুলিশ হামলা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। যার পাল্টা সেই অর্জুন সিংহকে জবাব দেন তৃনমূলের উত্তর 24 পরগনা জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নাম না করে তিনি বলেন, “এই গোটা ঘটনায় মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায় জড়িত রয়েছে।” আর এবার পাল্টা তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে সরব হন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়।

সূত্রের খবর, ভাটপাড়ার অশান্তির ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে গিয়ে এই বিজেপি নেতা বলেন, “পুলিশ খেটে খাওয়া মানুষদেরকে হত্যা করেছে। কেন নিরীহ মানুষদের ওপর গুলি চালানো হল, তার জবাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে। আসলে উনি হার মেনে নিতে না পেরে পুলিশকে ব্যবহার করে এখন ভাটপাড়ার দখল নিতে চাইছে। কিন্তু মানুষ এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকে যখন অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তারপরেই এই ভাটপাড়া অশান্ত হতে শুরু করেছিল। মাঝে কিছুদিন সেখানে শান্তি বিরাজ করলেও ফের গতকাল সেখানে বোমা এবং গুলির লড়াই হলে তৃণমূল এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও পাল্টা এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।