এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রন্তিদেব-শঙ্কুর হাত ধরে আত্মপ্রকাশের আগেই বিসিপিকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য বিজেপির

রন্তিদেব-শঙ্কুর হাত ধরে আত্মপ্রকাশের আগেই বিসিপিকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য বিজেপির


কিছুদিন আগেই এক প্রতিবেদনে আমরা জানিয়েছিলাম, প্রখ্যাত সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্তকে প্রধান পরামর্শদাতা করে এবং বিজেপি নেতা বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীকে সভাপতি ও শঙ্কুদেব পণ্ডাকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী ২১ শে জুন টলিপাড়াতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ বা বিসিপি নামে এক সংগঠন। টলিপাড়াতে সাধারণ কর্মীদের বেতন না পাওয়া থেকে শুরু করে, প্রবল প্রতাপশালী শাসক-ঘনিষ্ঠ দুই-ভাইয়ের ‘নিপীড়ন’ বা টলিপাড়ায় ‘দুর্নীতি’ – প্রথম থেকেই এইসব সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে ঝড় তুলতে চলেছে সংগঠনটি।

আর রন্তিদেব-বিশ্বপ্রিয়-শঙ্কুদেব এর মত ত্রয়ী সংগঠনের শীর্ষে থাকায়, আত্মপ্রকাশের আগেই এই নিয়ে রীতিমত হইচই পরে গেছে। গেরুয়া শিবিরের খবর, আত্মপ্রকাশের দিনেই অন্তত ৫ হাজার সক্রিয় সদস্যকে পাশে পেয়ে যাবে বিসিপি। ইতিমধ্যেই টলিপাড়ার বহু কলাকুশলী থেকে শুরু করে বহু নামীদামী প্রোডিউসার এই সংগঠনে এসে গেছেন বা আসার জন্য কথা দিয়েছেন। কেননা, এঁদের অভিযোগ রাজ্যের এক প্রভাবশালী নেতার ভাইয়ের ‘কল্যানে’, টলিপাড়ায় কাজ করা বর্তমানে কার্যত অসম্ভব দাঁড়িয়েছে। এই ভয়ঙ্কর দমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে তাঁরা ‘মুক্তি’ চান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে, বিসিপি আত্মপ্রকাশ করবে শুনেই, গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কার্যত ‘গৃহযুদ্ধের’ পরিস্থিতি শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেননা, রন্তিদেব-বিশ্বপ্রিয়-শঙ্কুদেব এর মত হেভিওয়েট ত্রয়ী যে সংগঠন নিয়ে ময়দানে নামছেন তা ধারে ও ভারে যে অন্য সব সংগঠনকে অনেক পিছনে ফেলে দেবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। ফলে, গেরুয়া শিবিরেরই একাধিক সংগঠন রাজ্য দপ্তরে গিয়ে রীতিমত ঝড় তুলে দেন। কারোর দাবি, এতদিন ধরে টলিপাড়ায় গেরুয়া শিবিরের সংগঠন তাঁরাই দেখেছেন, ফলে আগামীদিনে দল যেন তাঁদেরই দায়িত্ব দেন। তো কারোর আবার দাবি, তাঁদের সংগঠন ‘রেজিস্টার্ড’ – তাই টলিপাড়ায় সংগঠন করার অধিকার তাঁদেরই পাওয়া উচিত!

আর এইসব মতানৈক্য দূর করতে ও টলিপাড়া নিয়ে দলীয় নীতি কি হবে তা নির্ধারণ করতে গতকাল বিজেপি রাজ্য সদর দপ্তরে সব পক্ষকে নিয়ে এক মহাবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকের শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে টলিপাড়া সংক্রান্ত ট্রেড ইউনিয়ন-এর ক্ষেত্রে ‘সুপ্রিম অথরিটি’ হতে চলেছে রন্তিদেব-বিশ্বপ্রিয়-শঙ্কুদেব-এর নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদই। অন্যান্য সংগঠনগুলি নিজেদের মত সংগঠন বাড়াতেই পারে, কিন্তু আন্দোলন থেকে নীতি সংক্রান্ত সব বিষয়েই শেষ কথা বলবে বিসিপিই। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে টালিগঞ্জের বাইরেও যেখানে যেখানে ‘সিনেমা হাব’ হবে, সেখানেও গেরুয়া মতাদর্শের কোনো ট্রেড ইউনিয়ন করতে গেলে তা করতে হবে বিজিপির সঙ্গে কথা বলে।

বিজেপি রাজ্য নেতাদের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপিই, সেক্ষত্রে এখন থেকেই বিভিন্ন সংগঠন নিয়ে স্পষ্ট দিক নির্দেশিকা না থাকলে, আগামীদিনে তা বড়সড় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চেহারা নিতে পারে। আর বিজেপির মত সাংগঠনিক সুশৃঙ্খল দলে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না, তাই বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে অন্যান্য শাখা সংগঠন নিয়েও একই ভাবে স্পষ্ট দিকনির্দেশ করে দেওয়া হবে। গতকালের এই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে – বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের যে পরামর্শদাতা কমিটি হবে সেখানে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, অন্যতম শীর্ষনেতা মুকুল রায় ও প্রখ্যাত সাংবাদিক স্বপন দাশগুপ্তও থাকবেন অন্যতম নীতি-নির্ধারক সদস্য হিসাবে।

রন্তিদেব-বিশ্বপ্রিয়-শঙ্কুদেবের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করতে চলা বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদের আগামী ২১ শে জুনের সাংবাদিক বৈঠকের আমন্ত্রণ পত্র।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!