এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিজেপিকে আটকাতে “অভিমান” ভুলে দলত্যাগী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে কাছে টানছেন তৃণমূল নেত্রী

বিজেপিকে আটকাতে “অভিমান” ভুলে দলত্যাগী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে কাছে টানছেন তৃণমূল নেত্রী


সামনেই লোকসভা ভোট। আর এই লোকসভা ভোটের আগে মতুয়াদের সমর্থন পেতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বিজেপি। ইতিমধ্যেই মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর শতবর্ষ উদযাপনে আগামী 15 নভেম্বর গাইঘাটা ঠাকুরনগরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

আর এই বড়মা বীণাপাণি দেবীর জন্ম শতবর্ষকে কেন্দ্র করে ফের পুরনো সঙ্গীকে কি কাছে পেতে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস? কিন্তু যে মতুয়া মহাসংঘ বরাবরই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছিল সেখানে আবার সঙ্গী হারানোর কথা আসছে কোথা থেকে?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে বিগত 2011 সালের বিধানসভা নির্বাচন এই গাইঘাটা বিধানসভায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণি দেবীর ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়ে 25 হাজার 447 ভোটে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। এমনকি সেই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থানও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে সেই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের দাদা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে দাঁড় করিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেতানো হলেও পরবর্তীতে সেই কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের মৃত্যু হয়। আর এই পরিস্থিতিতে বনগাঁ লোকসভা আসনটিতে ফের নির্বাচনের সময় রাজ্য মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সেই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বিজেপিতে যোগদান করেন। এমনকি ছেলে সুব্রত ঠাকুরকে বিজেপির হয়ে প্রার্থীও করেন মঞ্জুলবাবু।

তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে জয়ী হন সেই তৃণমূলের প্রার্থী কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের স্ত্রী মমতা বালা ঠাকুর। এদিকে তখন থেকেই রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে সেই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের প্রবল দূরত্ব শুরু হয়। কিন্তু বড়মা বীণাপাণি দেবীর জন্ম শতবর্ষ অনুষ্ঠানে এবারে সেই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকেও আমন্ত্রণ জানানোয় তৃণমূলের সাথে তার প্রবল দূরত্ব ঘুচতে চলেছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

কেননা এই অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাহলে কি বড়মার এই শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানেই ঘুচে যাবে সব পুরনো বিবাদ? এদিন এ প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “গতকালই সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ সেই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন। আমরা চাই ঠাকুরবাড়িতে যাতে কোনো ভেদাভেদ না থাকে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে আগামী 15 ই নভেম্বরের এই অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন কিনা সেই ব্যাপারে মঞ্জুলবাবুকে ফোন করা হলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে এখন গাইঘাটার ঠাকুরনগরের 15 ই নভেম্বরের অনুষ্ঠানে ঠিক কি হয় সেদিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!