এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > কি এমন হল যে সভা শেষ না করেই মাইক ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ? জানুন বিস্তারিত

কি এমন হল যে সভা শেষ না করেই মাইক ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ? জানুন বিস্তারিত

রাজ্যে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে। যা নিয়ে জেলায় জেলায় বিজেপির তরফে জনসংযোগ যাত্রা করে সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সদ্য জয়ী বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের জয়ের জন্য ব্যবসায়ী সমিতির হলে ডেবরা মণ্ডল কমিটির পক্ষ থেকে তার সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল।

যেখানে খড়গপুর থেকে বাইক মিছিল করে দিলীপ ঘোষ ডেবরায় পৌছতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে তাঁকে মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এদিকে যে জায়গায় এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল, সেই জায়গা খুব একটা বড়ো না হওয়ায় প্রবল কর্মী সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল।

অন্যদিকে অনুষ্ঠানে মাইক্রোফোনেরও প্রবল সমস্যা দেখা দেয়। এদিকে কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক চিৎকার এবং হই হট্টগোলে প্রথম থেকেই মুখে চোখে বিরক্তির ভাব স্পষ্ট ছিল মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের। আর বিশৃংখলার জেরে মাঝপথে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা বেশ কয়েকজনকে সেই সভা কক্ষ থেকে বের করে দেন। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। নেতাদের কাছে পেয়ে অনেক কর্মীরাই হুমড়ি খেয়ে সামনের সারিতে চলে আসেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বক্তব্য রাখতে উঠে বারে বারে মাইক্রোফোন দিয়ে কোনো আওয়াজ না বেরোনোয় তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠেন দিলীপ ঘোষ। আর তারপরই সেই মাইক্রোফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সভা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যান তিনি। এদিকে দিলীপ ঘোষ সভা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় সেখানে বক্তব্য রাখা হয়নি ঘাটালের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ এবং ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের।

তবে পরে বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজ্যের লাগাতার সন্ত্রাসের ঘটনা প্রসঙ্গে এবং রাষ্ট্রপতি শাসনের সম্ভাবনা জোরালো হলে এদিন সেই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা কখনই 356 ধারা প্রয়োগের কথা বলিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রশাসন চালাচ্ছেন তাদের সেই 356 ধারা প্রয়োগ হতে পারে। আর তার ভয়ে তিনি নিজেই সেই কথা বলতে শুরু করেছেন।”

অন্যদিকে এনআরসির ঘটনা নিয়েও এদিন সরব হয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “ডাক্তাররা আন্দোলন শুরু করেছেন। এখানে কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। মুখ্যমন্ত্রী অসফল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গিয়েছেন। যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করবে। রাজ্যের প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!