এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সেলিব্রিটি সমাবেশে বিজেপির রথের চাকা কি বাংলায় শেষ পর্যন্ত ঘোরাতে পারবেন মুকুল রায়রা?

সেলিব্রিটি সমাবেশে বিজেপির রথের চাকা কি বাংলায় শেষ পর্যন্ত ঘোরাতে পারবেন মুকুল রায়রা?


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলাকে পাখির চোখ করা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য বিজেপিকে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বার জন্য প্রস্তুতি নিতে গনতন্ত্র বাঁচাও নামক এক রথযাত্রার কর্মসূচি করার নির্দেশ দিয়েছিল। যে রথযাত্রার কর্মসূচি বাংলার 3 প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রও ছুঁয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

এদিকে বিজেপির এই রথযাত্রার গুরুত্ব অনুভব করে পাল্টা শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকেও সেই বিজেপির রথ যেসব রাস্তা দিয়ে যাবে তার পরদিনই সেইখানে পবিত্র যাত্রা করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির এই রথের চাকা আদৌ ঘুড়বে কি না তা নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হওয়ায় এখন তীব্র সংকটে গেরুয়া শিবির।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে এখনই এই রথযাত্রার করা সম্ভব নয় বলে বিজেপির এহেন কর্মসূচীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চের পক্ষ থেকে বিজেপি তাদের এই রথযাত্রা কর্মসূচি সম্পর্কে কিছুটা আশার আলো পেলেও পরে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে তাঁদের এই কর্মসূচি কার্যত মুখ থুবরে পড়ে।

এমনকি এরপরে বাংলায় এই রথ চালাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয় তাঁরা। তবে সুপ্রিম কোর্ট ঠিক কবে এই ব্যাপারে রায় দেবে সেই ব্যাপারটি এখনও নিশ্চিত নয়। আর এই অবস্থায় দাড়িয়ে ভবিষ্যতের দিকেই সমস্ত কিছু ঠেলে দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতারা। দলের এই রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে পরিকল্পনার সঠিক অভাব প্রসঙ্গে বিজেপির নিচুতলার অনেক কর্মী-সমর্থকরা প্রশ্ন তুললেও এখন ঠিক কিভাবে বাংলায় তাদের এই রথের চাকা গতি পায় তারই চিন্তায় মগ্ন রয়েছেন মুকুল রায়রা।

একাংশের মতে, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লোকসভা নির্বাচনের আগে এখন রাজ্য রাজনীতির ফোরফ্রন্টে না থাকলে অনেকটাই পিছিয়ে যাবে বিজেপি। তাই এই রথযাত্রার কর্মসূচি মতো কর্মসূচি নিয়েই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে হবে তাঁদের। কিন্তু যেখানে এই রথের চাকা ঘুরবে কী ঘুরবে না তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের শীর্ষ আদালত, সেখানে বিজেপি নেতারা ঠিক কি এমন কর্মসূচি নিয়ে ফের শাসকদলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে পারে?

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গেরুয়া শিবিরের একাংশের মতে, কাটা দিয়েই কাটা তুলতে হবে। রথযাত্রার কর্মসূচি যদি নিতান্তই অসম্ভব হয়, তাহলে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে দলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের এনে শাসক দল তৃণমূলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে তাঁদের। কিন্তু শুধুমাত্র হেভিওয়েট নেতা নেত্রী ও সেলিব্রিটি সমাবেশ করিয়ে আদৌ কি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ভোটব্যাংকে ধ্বস নামাতে পারবে বিজেপির দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়রা?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর আগেও অতীতে বহুবার এই রাজ্যে এসে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে গেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ করতে পারেনি বিজেপি।যদিও বর্তমানে বিজেপি যেখানে কোথাও ছিল না সেখানে বিজেপি আসতে আসতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। নির্বাচনে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে না পারলেও সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে। যা নিয়ে মুখ না খুললেও ঘুম উড়েছে শাসকদলের এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের।

আর তাই এহেন একটা পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সেই জনগণকে নিজেদের বাগে আনতে হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এই সমাবেশ আদৌ কি রথের চাকা না ঘোরার ব্যাপারটিকে প্রলেপ দিতে সক্ষম হবে! রাজনৈতিকমহলের মতে হয়তো কিছুটা সফল হবে কেননা এর আগেও তৃণমূল – তারকা ও হেভিওয়েট নেতা নেত্রীর চমক দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে। যদিও সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বান্দ্যোপাধ্যায়ের নামটাই অনেক গুরুত্ত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু তবুও সেই পথেই হেঁটে ২০১৯ লোকসভা ভোট জিততে মরিয়া বিজেপি শিবির।  তবে ঠিক কি হবে! আগামী লোকসভা নির্বাচনে ঠিক কারাই বা নিজেদের কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেবে! তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী লোকসভা ভোটের বাক্স খোলা পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!