এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট, কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কংগ্রেস

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার না করে রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট, কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কংগ্রেস


নির্বাচনের দামামা বাজবার অনেক আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্য পুলিশকে না দিয়ে যাতে সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে নির্বাচন সম্পন্ন করা যায় তার জন্য দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। আর সেইমত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও বেশি করে বাড়ানোর জন্য বিরোধীদের তরফে দাবি করা হলে চতুর্থ দফায় নির্বাচন কমিশন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিল।

আর সেই মতো গতকাল চতুর্থ দফায় রাজ্যের মোট আটটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও বেলা যত গড়িয়েছে তত দু-একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। আর এবার সেই অশান্তির ঘটনাটি তুলে ধরে চতুর্থ দফার নির্বাচনে শেষে নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস পূরণে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করল প্রদেশ কংগ্রেস।

জানা গেছে, প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে সমস্ত বুথে নির্বাচন করার কথা থাকলেও বহরমপুর ও বীরভূমে সেইমতো কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না বলে এদিন মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে হাত শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে কমিশনের বিরুদ্ধে কিছুটা সুর চড়িয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “গোটা দেশে 92 টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হলেও শুধুমাত্র ছাপ্পা, কারচুপি, ভোটারদের বাধা দেওয়ার ঘটনা বাংলাতেই ঘটেছে। আসলে দুর্নীতি ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কারণে জনপ্রিয়তা হারিয়ে এখন তৃণমূল ভোট লুটের পথকেই বেছে নিয়েছে। যে সমস্ত বুথে নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে পারেনি, সেখানে ভোট লুট করেছে তৃণমূল।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। তিনি বলেন, “বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরদারি রাখার কথা বলা হলেও কার্যক্ষেত্রে তাকে ছেড়ে রেখে দেওয়া হয়েছে। এটা কমিশনের ব্যর্থতার পরিচয়।”

তবে শুধু সোমেনবাবুই নয়, এদিন চতুর্থ দফার ভোটে তৃণমূলের ব্যাপক সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য্যকেও। তিনি বলেন, “নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার সমস্ত দায়িত্ব কমিশনের ওপরই বর্তায়। কিন্তু কমিশন নির্দেশ দিলেও জেলার পুলিশ আধিকারিকরা তার কিছুই শোনেনি। অনেক জায়গাতেই ছাপ্পা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটের সময় কাজে লাগানোর প্রশ্নে জেলা পুলিশ কমিশনের নির্দেশকে উপেক্ষা করেছে। কমিশন যেভাবে চলছে তাতে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট পরিচালনায় তাদের সদিচ্ছা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলেই আমাদের মনে হয়।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, চতুর্থ দফার ভোট শেষে যখন কমিশনের পক্ষ থেকে এই ভোটকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করা হচ্ছে, ঠিক তখনই রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শাসকদলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ছাপ্পা, রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে কমিশন প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাবে বললেও দিনের শেষে সেই কমিশনের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল তুলে দিলেন কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য, সৌমেন মিত্ররা বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!