শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে শুভেন্দু-অভিষেককে ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত কর্মীরা? তীব্র হচ্ছে জল্পনা মেদিনীপুর রাজ্য June 24, 2019 দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের অন্দরে শুভেন্দু অধিকারী বনাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের চোরাস্রোত বইছে বলে শুনতে পাওয়া যায়। একাংশ অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের শীর্ষস্থানে বসিয়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে। যার জেরে দীর্ঘ বাম আমলে লড়াই আন্দোলন করে আসা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে সওয়াল করতেও দেখা যায় দলেরই একাংশকে। আর লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফলের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অপেক্ষা শুভেন্দু অধিকারীর ওপরই বেশি দায়িত্ব দিতে শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুক্রবার চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় সেই জেলার দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারীর বদলে সেইখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়াতেই এবার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ। যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে শুরু করেছেন দলের একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, “পতাকা বাঁধবেন শুভেন্দু, সংগঠন তৈরি করবেন শুভেন্দু, আর মিছিল করার সময় সামনের সারিতে থাকবে অন্যজন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।” আর এই ঘটনার পরই পর্যবেক্ষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি এবার তৃনমূলে শুভেন্দু বনাম অভিষেকের দ্বন্দ্ব আরও জোরালোভাবে ফুটে উঠতে শুরু করল? এক পক্ষের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী দলের দুর্দিনের নেতা। বিগত বাম আমলে তিনি একাই লড়াই, আন্দোলন করে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন মেদিনীপুর ও জঙ্গলমহলে। ফলে দলের দুর্দিনে তিনি লড়াই করবেন আর সুদিনে অন্য কোনো নেতা এসে তার ফল ভোগ করবে, এটা হতে পারে না। অন্যদিকে আরেকপক্ষের দাবি, দলে সবাই সমান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি। তাই তিনি কোনো মিছিলে হাঁটলে দ্বন্দ্বের কিছু নেই। তবে যে যাই বলুন না কেন, শুভেন্দু-অভিষেককে ঘিরে শাসকদলের কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে দলেরই কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে। যা নিশ্চিতভাবেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়াবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -