এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রাসঙ্গিকতা শরিকদের বুঝিয়ে রাজি করাতে ঘুম উড়ছে সিপিএমের

কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের প্রাসঙ্গিকতা শরিকদের বুঝিয়ে রাজি করাতে ঘুম উড়ছে সিপিএমের

আসন্ন লোকসভা ভোটে রাজ্যে সিপিএম এবং কংগ্রেসের জোট এগিয়েও এগোচ্ছে না। কিছুতেই ঐক্যমতে পৌছাতে পারছে না দুই দল। সিপিএম এ ব্যাপারে একটু নমনীয়তা দেখালেও প্রদেশ কংগ্রেস তার অটল অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। তা সত্ত্বেও এক ধাপ এগিয়ে কেন্দ্রীয় রাজ্য কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের গাঁটছড়া বাধার প্রশ্নে সায় দিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু বামফ্রন্টের শরিকদলগুলো যদি এরপরেও এ ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌছাতে না পারে তাহলে রাজ্য তথা জাতীয় স্তরে বামেদের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এই পরিস্থিতিতে বাম শরিকদলগুলোতে কংগ্রেসের সঙ্গে একছাতার তলায় আসার ব্যাপারে রাজি করাতে চেষ্টায় কোনো খামতি রাখতে চাইছে না আলিমুদ্দিন কর্তারা।

আগামীকাল অর্থাৎ ৮ মার্চ রাজ্য বামফ্রন্টের এই জোটের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয় তা ভালো করে দেখে নিয়েই বাম দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দিল্লিতে মিটিং করার একটা সম্ভাবনা রয়েছে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির।

সিপিআইয়ের এস সুধাকর রেড্ডি, ফরওয়ার্ড ব্লকের দেবব্রত বিশ্বাস, আরএসপির ক্ষিতি গোস্বামীদের সঙ্গে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসনরফা করার ব্যাপারে সরাসরি সীতারাম ইয়েচুরি কথা বলতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, সিপিআইকে তাদের কোনো আসন ছাড়তে না বললেও আরএসপিকে বহরমপুর এবং ফরওয়ার্ড ব্লককে পুরুলিয়া আসন ছাড়তে বলেছে সূর্যকান্ত মিশ্ররা। আরএসপি এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও ফরওয়ার্ড ব্লক অকপটেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের তিনটি আসনের একটিও ছাড়তে তারা রাজি নয়।

এদিন ফরওয়ার্ড ব্লকের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা জি দেবরাজন বলেছেন, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে গিয়ে দলকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে। তার পুনরাবৃত্তি আর হতে দেওয়া হবে না। কোচবিহার, পুরুলিয়া এবং বারাসতের একটিও আমরা ছাড়ব না।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে আবার ফরওয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাম ঐক্যকে আরো মজবুত করার ব্যাপারেই জোর দেওয়া হবে। যেখানে পরিস্থিতি প্রতিকূল সেখানে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গেই থাকবে তাঁরা। তবে আগে কোনো অবস্থাতেই বিজেপিবিরোধী ভোটেী বন্টন করতে রাজি নন তাঁরা।

রাজ্যের মোট ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বামশরিকের ভাগ থাকে কমবেশি ১০ টি আসন। আর এবছর তাঁরা জানিয়েছে,সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০-২২ আসনে লড়বে তাঁরা। কিন্তু তাঁদের এই দাবী অন্যান্য বামশরিকরা মেনে না নেওয়ায় সমস্যায় পড়েছে সিপিএম নেতৃত্ব।

এদিকে দলের বিশেষজ্ঞদের মতে,এই মুহূর্তে রাজ্যে বামফ্রন্টের সাংগঠনিক পরিস্থিতি অত্যন্ত দূর্বল। কাজেই কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের একটি আসনেও তাঁরা আদৌ জিততে পারবে কিনা সে নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্যেই কংগ্রেসের হাত ধরতে চাইছেন আলিমুদ্দিন কর্তারা।

অন্যদিকে একই ইস্যুতে বেঁকে বসছে বামফ্রন্টের শরিকদলগুলো। এই অবস্থায় শরিকদলগুলোকে প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে রাজি করানোটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়িয়েছে সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুদের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!