এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রামকে আটকাতে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীই কি বামেদের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে দিলেন? বাড়ছে জল্পনা

রামকে আটকাতে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীই কি বামেদের প্রাসঙ্গিকতা ফিরিয়ে দিলেন? বাড়ছে জল্পনা

সাম্প্রতিক কালে এই রাজ্যের প্রশাসনিক সভা থেকে দলীয় জনসভা- প্রায় সবখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যেত তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু হঠাৎই সেই বিজেপি বিরোধীতায় মুখ খোলার ব্যাপারে কিছুটা রনে ভঙ্গ দিয়ে ফের বহুদিন বাদে এক সময়কার প্রবল প্রতিপক্ষ সিপিএমের বিরুদ্ধে ফের মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, 2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পরই ধীরে ধীরে একের পর এক নির্বাচনের ফলাফলে ধ্বস নেমেছিল বাম শিবিরে। আর তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমাগত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কিন্তু সম্প্রতি কৃষকদের ন্যায্য দাবি দাবি নিয়ে সিঙ্গুর থেকে রাজভবন পর্যন্ত প্রায় 40 হাজার সমর্থককে জড়ো করে এক কৃষক লং মার্চের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতাকে কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন রাজ্যের বাম নেতারা।

আর বামেদের এহেন মিছিল দেখেই ফের অনেকদিন পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলা থেকে শোনা গেল বাম বিদ্বেষের কথা। কিন্তু হঠাৎ নিজের বক্তব্যে কেন বামেদের বিরুদ্ধে ফের রণংদেহি মেজাজে ফিরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যের বামেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল যে, কেন্দ্রের মোদী এবং রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে একটা গোপন সমঝোতা রয়েছে। কিন্তু সিপিএমের এই দাবিকে নস্যাৎ করে লাগাতার একের পর এক জনসভায় সেই বিজেপি এবং মোদির বিরুদ্ধে কটাক্ষের শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তবে বক্তব্যে বিজেপিকে তুলোধুনা করে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদতে বিজেপির গুরুত্ব অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আর তাই তো এবার তা বুঝতে পেরেই বিজেপিকে ঠেকাতে কিছুটা বামেদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি। সিপিএমের একাংশের মতে, আসলে বাস্তবটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন। তাই উনি আবার সিপিএমকে নিশানা করছেন। তবে তৃনমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দ্বিমুখী নীতিতে আদতে যে তৃণমূলেরই ক্ষতি হবে এদিন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিপিএম নেতা তথা কৃষকসভার রাজ্য সম্পাদক অমল হালদার।

এদিন তিনি বলেন, “আমাদের কর্মসূচির উদ্দেশ্য যে কতটা সফল হয়েছে সেটা মুখ্যমন্ত্রীই বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন উনি লাঠি ছেড়ে শিয়ালের পা ধরছেন। রাজ্যে 187 জন কৃষক আত্মহত্যা করল অথচ রাজ্য সরকার তা স্বীকারই করছে না। কৃষকদরদী সেজে রাজ্য সরকার সিঙ্গুরের কৃষকদের সর্বনাশ করেছে।

আসলে এই গ্রামবাংলায় তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে বুঝেই ফের” ওরা নিজেদের পুরনো কায়দায় সিপিএম বিরোধিতার পথকে বেছে নিয়েছে। তবে একবার বিজেপি ও একবার সিপিএমকে নিশানা করার মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের দ্বিচারিতা রাজ্যের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতাদের এহেন ভাবনা কিছুটা হলেও সত্যি হতে পারে। কেননা দীর্ঘ দিন বাদে ফের বিজেপির বদলে একদা প্রবল প্রতিপক্ষ সিপিএমকে নিশানা করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, প্রবল কটাক্ষ করে তিনি অনেকটাই বিজেপির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাই কালনার প্রশাসনিক সভা থেকে ফের নিজের পুরনো কায়দায় অবতীর্ণ হলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!