এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কাটমানি বিক্ষোভের পেছনে কি তৃনমূলেরই একাংশ! শাসকদলের নেতার কথায় বাড়ল জল্পনা

কাটমানি বিক্ষোভের পেছনে কি তৃনমূলেরই একাংশ! শাসকদলের নেতার কথায় বাড়ল জল্পনা

লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলাফলের পরই দুর্নীতিকে দমিয়ে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে সামনে আনতে তৎপর হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “কেউ কাটমানি খেলে সেই টাকা তাকেই ফেরত দিতে হবে” বলে জানিয়ে দেন তিনি। আর এই ঘটনার পরই দিকে দিকে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সাধারণ মানুষ। যার জেরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে ঘাসফুল শিবির।

দলের দুর্নীতি কমিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি আনতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই অস্বস্তিতে পড়েছেন বলে খোঁচা দিতে শুরু করে বিরোধীদের একাংশ। আর এবার কাঠমানিতে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নেতারা বিক্ষোভের মুখে পড়লে এই ব্যাপারে দলেরই একাংশের হাত রয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গেল বীরভূমের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানকে।

প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর বিগত বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের বীরভূমের অনেক নেতাকর্মীর বাড়ি ঘিরে 100 দিনের কাজ, শৌচাগার নির্মাণ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাটমানি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায় সাধারণ মানুষদের।

প্রথম থেকে এই ব্যাপারে বিরোধীদের চক্রান্ত বলে গোটা ঘটনাটিকে শাসকদলের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হলে এবার এই ঘটনায় তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুললেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের এই নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শনিবার এই প্রসঙ্গে নানুরের বঙ্গছত্র গ্রামের দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ আব্দুল কেরিম খান বলেন, “কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে পার্টি অফিসে জানাতে পারেন, বিডিও অফিসে জানাতে পারেন। কিন্তু বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঝামেলা পাকালে তা বরদাস্ত করা হবে না। আমাদের কাছে খবর রয়েছে দলেরই কেউ কেউ কাটমানি বিক্ষোভ করাচ্ছেন। দল কিন্তু তাদের ছেড়ে কথা বলবে না।”

অন্যদিকে এদিন বিরোধীদের উদ্দেশ্য কার্যত হুমকির সুরে তৃণমূলের এই নেতা বলেন, “তৃণমূল প্রশাসনের তৈরি রাস্তা পানীয় জল, বিদ্যুৎ ভোগ করবে, আর আমাদের বিরুদ্ধে মিছিল করবে, আমরা তা মেনে নেব না।”

আর বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের এহেন কথাতেই এবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাহলে কি দলের ভেতরেই অনেকে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলে দলের নেতাদের বিড়ম্বনায় ফেলছেন!

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, হঠাৎ করেই অপ্রিয় সত্য কথাটি বলে ফেলেছেন তৃণমূলের এই নেতা। কেননা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূলে নব্য, আদির দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যার ফলে অনেক নেতার বিরুদ্ধে কখনও প্রকাশ্যে, আবার কখনও বা আড়ালে একশ্রেণী দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে।

কিন্তু এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানি নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করার পরেই সেই দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে যেভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে, তাতে শুধু যে বিরোধীরা নয়, দলের অনেকেই রয়েছে, তা আঁচ করতে পেরেছিল বিশেষজ্ঞরাও। আর তাই এদিন সেই ব্যাপারটিকে অনুধাবন করেই দলের একাংশের দিকে এই ব্যাপারে অভিযোগের আঙুল তুললেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের এই সদস্য।

যদিও বা তৃণমূলের এই নেতা গোটা ব্যাপারটিকে দলের অনেকের সাথে বিজেপির সমঝোতা বলে উল্লেখ করলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির নানুর মণ্ডল কমিটির সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেন, “আমরা যে কাটমানি ফেরতের জন্য বিক্ষোভ করাচ্ছি না, তা ওনারাই স্বীকার করে নিলেন। আসলে সরকার তৃণমূলের টাকায় নয়, জনগণের টাকায় চলে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!