আজ ডিএ মামলায় ‘ডবল ডোজ’ – কোন পথে সামলাবে রাজ্য সরকার? আশায় সরকারি কর্মীরা কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য November 22, 2018 রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারীদের কাছে আজ এক বিশেষ দিন। বকেয়া ডিএ নিয়ে তাঁদের যে দীর্ঘদিনের লড়াই – তা আজ এক অভূতপূর্ব সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল বা স্যাটে – আজ এই সংক্রান্ত দু-দুটি মামলার মুখোমুখি হতে হবে রাজ্য সরকারকে। বকেয়া ডিএ নিয়ে স্যাটে প্রথম মামলা করে সরকারি কর্মচারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ। কিন্তু, সেখানে তাঁদের শুনতে হয়, ডিএ নাকি সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকারই নয়! ফলে, কলকাতা হাইকোর্টের মুখাপেক্ষী হন কনফেডারেশনের নেতারা। অন্যদিকে, ঠিক সেই সময়েই স্যাটে এই ডিএ নিয়ে করা অপর সরকারি কর্মচারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের মামলার শুনানি শুরু হয়। কিন্তু, যেহেতু সেই একই বিষয়ে একটি মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন – তাই স্যাট এক্ষেত্রে পরিষদের করা মামলা খারিজ না করে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর কলকাতা হাইকোর্ট স্যাটের দাবিকে নস্যাৎ করে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় – ডিএ সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। তবে সেই ডিএর হার কি হবে বা বছরে তা কবর করে দেওয়া হবে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে স্যাটকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে, পুনরায় স্যাটে আবেদন করে কনফেডারেশন। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সেই মামলার শুনানি মোটামুটি শেষ – গত ২০ শে নভেম্বর এই মামলার কিছু নথি রাজ্য সরকার ও মামলাকারীদের জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্যাটের বিচারপতিরা। সেই সমস্ত নথি জমা দেওয়ার পর, আজ পুনরায় মামলাকারী কনফেডারেশনের আইনজীবীকে ডিএ বৃদ্ধি সংক্রান্ত (১৪৮%) নথি জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায় সামনে আসার পর, পরিষদের থমকে থাকা মামলা আজ নতুন করে গতি পেতে চলেছে – আজই সেই মামলারও শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ফলে, সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল ও তাঁর আইনজীবী আজ স্যাটে নিজেদের যুক্তিজালের ঝড় তুলতে চলেছেন। আর তাই – রাজ্য সরকারের উপর আজ ডিএ নিয়ে দ্বিমুখী আক্রমন নেমে আসতে চলেছে। আর তাই সব মিলিয়ে – ডিএ নিয়ে ক্রমশ আশা বাড়ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। কনফেডারেশনের অন্যতম শীর্ষনেতা তথা এই মামলার সঙ্গে প্রথম থেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা সুবীর সাহা আগের দিনই জানিয়েছিলেন, সবাইকে জানিয়ে রাখি দিনের পর দিন আমাদের উৎসাহ এবং লড়াই করার জিদ বাড়ছে। যাঁরা ভয় পেয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন ছলের আশ্রয় নিচ্ছেন – ভুল তাঁরা করবেনই। কোনো অশুভ শক্তিই আপনার, আমার এবং আমাদের জয়কে বেশি দিন আটকে রাখতে পারবে না। অন্যদিকে সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিসবাবু জানিয়েছিলেন, এতদিন আমাদের আইনি লড়াই থমকে রাখার যে প্রয়াস, তা ভোঁতা করে দিতে আমরা কিন্তু রাস্তার লড়াই ছাড়ি নি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের অপমানকর বক্তব্যের বিরোধিতা করে ‘ঘেউ ঘেউ’ আন্দোলন হোক বা পে-কমিশন ও বকেয়া ডিএর দাবিতে ‘থালা হাতে’ রাজপথে মিছিল করা হোক – একের পর এক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সব থেকে বড় কথা অন্যান্য সাথী সরকারি কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়াও পেয়েছি তাতে। এবার, ডিএ নিয়ে আমাদের বক্তব্য স্যাটের সামনে পেশ করার সুযোগ পেয়েছি। সুতরাং, কর্মচারীদের ন্যায্য পাওনা তাঁদের হাতে তুলে দিতে এই আইনি লড়াইকে আরও জোরদার আমরা করবোই। আরও পড়ুন: স্যাটে ডিএ নিয়ে জোড়া মামলার শেষে কি দাঁড়ালো পরিস্থিতি? কবে হতে পারে রায়দান? আপনার মতামত জানান -