এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দার্জিলিং থেকে তৃণমূল সাংসদ পেতে সব দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গৌতম দেব

দার্জিলিং থেকে তৃণমূল সাংসদ পেতে সব দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গৌতম দেব


গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সেভাবে মোদি ঝড় দেখা না গেলেও শৈলশহর দার্জিলিংয়ে বিজেপি তরফে জয়ী হয়েছিলেন সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। কিন্তু আসন্ন 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত নীতি, রাজ্যের 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 42 টি আসনই নিজেদের দখলে রাখবার। আর সেইমতো এই দার্জিলিং লোকসভা আসন দখল করতে সেখানকার ভূমিপুত্র হিসেবে পরিচিত অমর সিং রাইকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।

আর দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে এবার দিনরাত এক হয়ে খাটতে শুরু করেছেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব। সূত্রের খবর, গতকাল সকালে মাটিগাড়ার কাওয়াখালী থেকে হুডখোলা জিপে করে দলীয় প্রার্থী অমর সিং রাইকে নিয়ে রোড শো শুরু করেন গৌতম বাবু।

আর দুই ঘণ্টার এই রোড শো বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কদমতলায় শেষ হলে পরবর্তীতে বিকেলে মাটিগাড়া আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে একটি রোড শো শুরু হয়ে তা শিবমন্দির এলাকাতে শেষ হয়। কিন্তু দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব জোর প্রচার চালালেও গতবার এই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে থাকায় এবং এইবার সেখানে বিজেপির তরফে রাজু বিস্তা প্রার্থী হওয়ায় তৃনমূল কি আদৌ জানতে পারবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, “বিজেপি দিবা স্বপ্ন দেখছে। এই নির্বাচনের পর বাংলায় 23 টি আসন দখল তো দূর অস্ত, ওরা কেন্দ্রের ক্ষমতাতেও আর আসতে পারবে না। আমরা প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি। এখানে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই।” এদিকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে বহিরাগত বলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হিসেবেই দেখা গেল এখানকার তৃণমূল প্রার্থী অমল সিং রাইকে।

এদিন তিনি বলেন, “বিজেপি প্রার্থী নিজের কেন্দ্র সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। ও এখানে সময় দিতে পারবে না। আমি সকলের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন করব। তাই সকলে এবার তৃণমূলকেই ভোট দেবে।” এদিকে তৃণমূলের পাশাপাশি এদিন সকালে গুলমা চা বাগান এলাকায় জোর প্রচার করতে দেখা যায় বাম প্রার্থী সমন পাঠককে। জয়ের ব্যাপারে তিনিও একশো শতাংশ আশাবাদী বলে দিন জানিয়ে দেন। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার পর্ব থেকেই জমে উঠেছে শৈলশহরের রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!