এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এই পাঁচটি কাজ করতে পারলেই ব্লাড সুগারকে কন্ট্রোলে রেখে ডায়াবিটিসের হাত থেকে বাঁচতে পারেন

এই পাঁচটি কাজ করতে পারলেই ব্লাড সুগারকে কন্ট্রোলে রেখে ডায়াবিটিসের হাত থেকে বাঁচতে পারেন


নভো নর্ডিস্ক এডুকেশন ফাউন্ডেশন-এর গবেষকরা সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বলেছেন, ভারতীয়রা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। তাঁদের মতে এর প্রধান কারণ রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক রাখার প্রয়োজনীয়তা এবং উপায় সম্পর্কে সেভাবে সচেতনতা না থাকা। দেশে ডায়াবেটিসের ক্রমবর্ধমান প্রবনতার ক্ষেত্রে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই গবেষক দল।

আসলে আমাদের প্রতিটি খাবারের আগে এবং পরে ইনসুলিন হরমোন আমাদের শরীরে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। এই হরমোন রক্তে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শরীর থেকে গ্লুকোজ শোষণ করে। আমাদের অগ্নাশয় প্রতিটি খাবারের আগে এবং পরে ইনসুলিন হরমোন দ্বারা আমাদের শরীরের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই হরমোন রক্তে স্বাভাবিক মাত্রায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শরীরে বিভিন্ন অসুবিধার সৃষ্টি করে।

সবচেয়ে বড় কথা, অগ্নাশয় ইনসুলিনকে প্রভাবিত করা বন্ধ করে দিলে আমাদের শরীরের শর্করা রক্ত, স্নায়ু এবং রক্তবাহী মাধ্যমগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে এটি ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির কারণ হতে পারে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, স্বাভাবিক ব্যক্তির রক্তের শর্করার মাত্রা খাবারের আগে ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর কম হওয়া উচিত। অন্যদিকে, তা খাবার ১-২ ঘন্টা পরে ১৪০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর কম হওয়া উচিত।

আপনি যদি নিয়মিতভাবে ব্লাডসুগার চেক নাও করেন, তবুও এই উপসর্গগুলি থেকে বোঝা যায় এবার আপনার ব্লাড সুগার ঠিক নেই। যেমন, সবসময় তৃষ্ণার্ত থাকা, ক্লান্তি, ঘন ঘন প্রস্রাব, অস্পষ্ট দৃষ্টি ইত্যাদি। এইরকম উপসর্গগুলি দেখা দিলেই, সাথে সাথে ব্লাড সুগার চেক করুন ও ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে এই ঝামেলা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন, যদি নিচের কাজগুলি নিয়মিত করেন –

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন – ব্যায়াম আপনার শরীরে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

২. কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা – কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা সবথেকে বেশি বৃদ্ধি করে। ফলে, ফ্যাটযুক্ত খাবার, মিষ্টি ফল, আলু , মিষ্টি, ভাতজাতীয় খাবার কম খাবার চেষ্টা করুন।

৩. ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খান – কলা, আপেল, লেবু, থোড় ইত্যাদি খাবারগুলিতে উপস্থিত ফাইবার রক্তের শর্করার মাত্রা ঠিক করতে সাহায্য করে।

৪. বেশি করে জল পান করুন – সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, পানীয় জল নিয়মিতভাবে রক্তকে পুনরায় হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস করে। ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

৫. নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস – তেল-মশলা যুক্ত বেশি খাবার পরিহার করুন। বাইরের খাবার নয়, বেশি করে ঘরে তৈরী খাবার খান। বেশিমাত্রায় নয়, যতটুকু শরীরের প্রয়োজন ততটুকুই খান, প্রয়োজনে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!