এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > যাদের নামে দুর্নীতি, যাদের পেছনে সিবিআই – তারাই শুধু কেন তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে? প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের

যাদের নামে দুর্নীতি, যাদের পেছনে সিবিআই – তারাই শুধু কেন তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে? প্রশ্ন গেরুয়া শিবিরের


কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে সরাতেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে বিরোধী মহাজোট। আর বিজেপি বিরোধী এই মহাজোটকে সাফল্যের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে দিতে কদিন আগেই কলকাতায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপি বিরোধী একাধিক দলের নেতা-নেত্রীরা আলো করে বসেছিলেন।

আর এই ঘটনাকে বিজেপি বিরোধিতায় নিজেদের সাফল্য বলে প্রচার করতে এখন চরম ব্যস্ত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা। এদিকে ব্রিগেড সমাবেশের পর ফের বিজেপি বিরোধিতায় এই কলকাতাতেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঢাকা ধরনা মঞ্চে দেখা গেল একাধিক বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দেশের গণতন্ত্র ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার দাবিতে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।

তার তৃনমূল নেত্রীর পাশে থেকে সেই মঞ্চে উপস্থিত হতে দেখা যায় লালু পুত্র তেজস্বী যাদব, কানিমোঝি সহ দেশের বিরোধী দলের একাধিক নেতা নেত্রীদের। এমনকি ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার কথা বলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ সিং যাদব এবং বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতীও।

আর এই ঘটনা নিয়ে এবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনায় সমস্ত দুর্নীতিতে যুক্ত নেতারাই তাঁর পাশে রয়েছে বলে পাল্টা মাঠে নেমে সেই তৃণমূলকে কটাক্ষ করে জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন তুলেছে বিজেপি। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকা কোন নেতা, কোন দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছে তার তথ্যও তুলে ধরেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি,
১) লালু প্রসাদ ও তেজস্বী যাদব: আইআরসিটিসি কেস: দেশের জনপ্রিয় রাজনৈতিক মুখ হিসেবে পরিচিত লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আইআরসিটিসি দুর্নীতির একটি তদন্ত করছে। যে দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে স্বয়ং লালু প্রসাদ যাদব, তার স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং ছেলে তেজস্বী যাদবেরও।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একটি চার্জশিটও জমা দিয়েছে সিবিআই। যেখানে বলা হয়েছে যে 2004 থেকে 2014 সাল পর্যন্ত পুরী ও রাচির হোটেলকে বেআইনিভাবে একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিজ পাইয়ে দেওয়া হয়। এমনকি টেন্ডার প্রক্রিয়াতেও গড়মিল দেখা যায়।
২) অখিলেশ যাদব: অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধেও বেআইনি বালি খাদান মামলায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন
এই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় একদিনে 14 টি খাদানের বরাত একটি সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অখিলেশের বিরুদ্ধে। জানা গেছে সম্প্রতি সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হতে পারেন তিনি। সেই দিক থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই আন্দোলনে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

৩) মায়াবতী: দলিত নেত্রী হিসেবে পরিচিত এবং দেশে বর্তমানে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত মায়াবতীর বিরুদ্ধেও তাজ করিডর দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা। আর তাই সেই দিক থেকে মায়াবতীকেও কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি করা হতে পারে। আর সেই মায়াবতীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আন্দোলনে পাশে থাকায় তাঁর দুর্নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিজেপির প্রশ্ন বান থেকে বাদ পড়েননি কানিমোজিও। গেরুয়া শিবির দাবি, টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে এই কানিমোঝির বিরুদ্ধেই অবৈধভাবে টেলিকম অপারেটরদের টুজির লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর এই ঘটনায় সরকারের ক্ষতি হয় প্রায় 30 হাজার 984 কোটি টাকা।

তবে এই মামলায় গত 2017 সালের ডিসেম্বর মাসেই বেকসুর খালাস পেয়ে যান কানিমোজি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই নিয়ে আপত্তির এই আন্দোলন এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেত্রীর এই ধর্নায় ঘটনায় এই সমস্ত দুর্নীতিতে জরানো নেতা নেত্রীরাই তার পাশে রয়েছে বলে বিজেপির এই দাবি কিছুটা হলেও যুক্তিসম্মত।

যার কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝরনা মঞ্চে এবং কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে বেশিরভাগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো নেতা-নেত্রীদেরই দেখা গেছে। ফলে সেই দিক থেকে গেরুয়া শিবিরের নেতা নেত্রীদের এই দাবি লোকসভা ভোটে বিরোধী মহাজোটকে আদৌ ধাক্কা দেয় কি না এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!