এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > শেষদফায় মাথাপিছু ২ হাজার টাকা দিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতী জড়ো করছে তৃণমূল? বিস্ফোরক প্রাক্তন সাংসদ

শেষদফায় মাথাপিছু ২ হাজার টাকা দিয়ে বহিরাগত দুষ্কৃতী জড়ো করছে তৃণমূল? বিস্ফোরক প্রাক্তন সাংসদ

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪ লোকসভা আসন কার্যত একসময় বামপন্থীদের দুর্ভেদ্য দুর্গ ছিল। কিন্তু পরিবর্তনের জমানায় সেই বামদুর্গ এখন ঘাসফুলের দখলে। ২০১৪ এর লোকসভার নির্বাচন হোক বা ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের দাপটে এইসব অঞ্চলে বিরোধীদের দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হয়েছে। অথচ গতবছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এইসব অঞ্চলে শাসকদল আশ্রিত ‘দুষ্কৃতীরা’ বিরোধীদের মনোনয়ন পর্যন্ত দিতে den নি বলে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল। যদিও শাসকদলের যুক্তি ছিল – বিরোধীরা নাকি দেওয়ার মত প্রার্থীই খুঁজে পায় নি!

কিন্তু, রাজ্যজুড়ে যেখানে বিজেপির প্রবল উত্থান লক্ষ্যণীয় হচ্ছে বা দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চলে যেখানে বামেরা হেরে গেলেও ৩৫-৪০% ভোটব্যাঙ্ক এখনও অটুট রেখেছে, সেখানে প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ার যুক্তি কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে রীতিমত সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের শেষদফার ভোটে আগামীকাল এই চার লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে। আর তার আগে এইসব আসনের দখল নিতে তৃণমূল কংগ্রেস দুষ্কৃতী সমাহারে ভরিয়ে দিয়েছে এলাকা বলে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ শমীক লাহিড়ী বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শমীকবাবু সরাসরি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান, ভোটের দিন গোলমাল পাকাতে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গাতে বহিরাগত সমাজবিরোধীদের এনে জড়ো করছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিশেষ করে বাসন্তী, মগরাহাট পূর্ব, ক্যানিং পূর্ব, কুলতলি, ক্যানিং পশ্চিম থেকে বাছাই করা সশস্ত্র লোককে আনা হয়েছে। গোলমালের মোকাবিলার পাশাপাশি ফলস ভোট দেওয়ার জন্যও তাদের তৈরি করা হয়েছে। এজন্য মাথা পিছু দুহাজার টাকা হাত খরচ দেওয়া হচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের হোটেলে ও তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে এদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি যাদবপুর ও জয়নগর লোকসভাতেও শাসকদল একইভাবে দুষ্কৃতীরাজ কায়েম করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, যাদবপুরের ভাঙড়, সোনারপুর, বারুইপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য শাসানো হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের কুলতলি, বাসন্তী, ক্যানিং পূর্ব, জয়নগরে বহিরাগতদের দিয়ে বুথ দখলের পরিকল্পনা করছে শাসকদল। এমনকি, ডায়মন্ড হারবার সহ বিভিন্ন জায়গাতে দলের কার্যকর্তাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যাতে ভোটের দিন কেউ ভোট করাতে না পারে। এই মর্মে বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানানো হয়েছে। যদিও বিরোধীদের সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী দাবি করেন, মানুষ সিপিএম ও বিজেপি কোনও দলের সঙ্গে নেই – সহানুভূতি পাওয়ার জন্য এসব অপপ্রচার করে যাচ্ছে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!