দুদিনেও নেভেনি আগুন – নানা বাধায় ক্ষোভ বাড়ছে পরিশ্রান্ত দমকল-কর্মীদের কলকাতা রাজ্য September 18, 2018 দুর্বিষহ অগ্নিকান্ডে বিপর্যস্ত মহানগরীর বড়বাজারের বাগরি মার্কেট এলাকা। গত দু দিন ধরে এইখানে অত্যন্ত তৎপরতার সাথে দমকলকর্মীরা কাজ চালালেও প্রতি মুহুর্তে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। গত রবিবারের পর সোমবার ফের এই আগুন নেভানোর কাজে নামলে আগুন নেভা তো দূরঅস্ত উল্টে চোখে মুখে ধোঁয়া প্রবেশ করায় চরম অসুস্থ হয়ে পড়লেন কিছু দমকলকর্মী। তবে অসুস্থতা অপেক্ষা মানুষের প্রান বাঁচানোই যে তাঁদের মূল লক্ষ্য তা মাথায় রেখে ফের এই আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়লেন তাঁরা। কিন্তু অগ্নিকান্ড নেভাতে কেন বার বার বাধা পেতে হচ্ছে কর্মীদের? এ প্রসঙ্গে এদিন এক দমকল কর্মী দপ্তরে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকাকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “একজনকে দিয়ে 24 ঘন্টা কাজ করালে আগুন নেভানোর যে ভাবনা প্রয়োজন তা তো কমবেই।” জানা গেছে, এই আগুন নেভাতে প্রতি মুহুর্ত সমস্ত দমকলকর্মীদের কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বিশ্রামের প্রশ্ন তো দূরের কথা বড়বাজারের অগ্নিকান্ডে আগুন নেভাতে অক্সিজেন-মাক্স ব্যাবহার করেও কুলকিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা। তবে এই আগুন নেভাতে এতটা কষ্ট করতে হত না যদি শহরের যে 113 টি নলকূপ বসিয়ে স্পাউটের মাধ্যমে জল ভরার প্রক্রিয়া এই বাগরি মার্কেটে থাকত। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পাশাপাশি কোলকাতা শহরের একাধিক অগ্নিকান্ডে সিইএসসির তার কেটে আগুন নেভানোর কাজ করা হলেও এখানে সেই তার কাটাই হয়নি। ফলে রবিবার রাতে হাইড্রলিক ল্যাডার এনে সোমবার থেকে শুরু হয় কাজ? কিন্তু কেন এইরুপ ত্রুটি? এই প্রসঙ্গে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়ে দমকলের ডিজি জগমোহন বলেন, “সিএসসির তারগুলির মধ্যে কোনটা কাটলে কি সমস্যা হবে তা না বোঝা যাওয়াতেই এই তার কাটা হয়নি।” অন্যদিকে পর্যাপ্ত কর্মীদের অভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পরিকাঠামো আধুনিক করার পাশাপাশি নিয়োগের ক্ষেত্রেও সব জটিলতা মিলেছে।” তবে এতসবের মাঝেও এখন সকলের একটাই প্রার্থনা আগুন নিভে স্বাভাবিক হোক শহরের বাগরি মার্কেট। আপনার মতামত জানান -