সরকারের আশায় না থেকে নিজেরাই চাঁদা তুলে বানিয়ে ফেললেন কংক্রিটের ব্রিজ রাজ্য July 9, 2018 ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরেই প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের জানিয়েও যখন কোনো সুরাহা হয়নি তখন গ্রামের সকল মানুষ একজোট হয়ে নিজেদের সমস্যার নিজ হাতেই সমাধান করলেন। ঘটনাস্থল নদীয়ার নাকাশিপাড়া থানার অন্তর্গত বিলকুমারি এলাকা। গ্রামটি পলাশীপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভূক্ত। এখানেই হাজার প্রতিকূলতার মধ্যে নৌকার করে জলপথ পেরিয়ে দৈনন্দিনের কাজকর্ম সম্পাদন করতে হতো এলাকার সাধারণ মানুষকে। এই দুর্দশার থেকে মুক্তির জন্যে স্থানীয় প্রশানিক মহলে অনেক আবেদন নিবেদন করেও কোনো ফল মেলেনি তাঁদের। অবশেষে সংশ্লিষ্ট গ্রামের কয়েকশো বিড়ি শ্রমিক, জনমজুর, কৃষক, ব্যবসায়ী একত্রে জোট গঠন করে প্রতিদিনের কায়িক পরিশ্রম করে চাঁদা তুলে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আশি ফুট দীর্ঘ, আট ফুট চওড়া একটা কংক্রিটের ব্রিজ নির্মানের কাজ শুরু করে দিলেন। এদিন ছিলো ঐ ব্রিজের ঢালাইয়ের প্রথম দিন। জানা গিয়েছে গোটা পদ্ধতিটি রূপদান করতে বেশ কয়েক মাস লেগে গেছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এই সেতু নির্মানের ফলে এলাকার মানুষদের নিঃসন্দেহেই প্রাত্যহিক জীবনের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। জানা যাচ্ছে যে খালের ওপরে এই সেতু নির্মান হচ্ছে সেখানকার ঘাটে অনেক কাল আগে দুটি নৌকা থাকলেও, বর্তমানে একটি নৌকা আছে। যেটি আবার সন্ধ্যার পর থাকে না। এছাড়া ওপারে নৌকা যতক্ষণ ভর্তি না হয় মাঝি ততক্ষণ ছাড়ে না। ফলে নি;সন্দেহেই সময়ের অহেতুক অপচয় হয়। এছাড়াও রয়েছে মূমুর্ষু রোগী বা আসন্ন প্রসবা মহিলাদের হাসপাতালে যাওয়ার মতো বিষয় ও। রাত ভিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার অবসান ঘটিয়ে সব দিক থেকে এলাকার মানুষ স্বস্তি পেতে এই সেতু নির্মান। উল্লেখ্য পলসুন্ডা এক ও দুই, বার্ণিয়া, বিলকুমারি, হরনগর বা ধনঞ্জয়পুর পঞ্চায়েতের কিছু অংশ থেকে কয়েক হাজার মানুষ প্রত্যহ এই খাল পার হয়ে যাতায়াত করেন। আপনার মতামত জানান -