এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল-সায়ন্তনের হাত ধরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বিশাল সংখ্যায় বিজেপিতে যোগদান

মুকুল-সায়ন্তনের হাত ধরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বিশাল সংখ্যায় বিজেপিতে যোগদান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – এই রাজ্যে বর্তমানে শাসকদলের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি বিক্ষুব্ধ যদি কেউ হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরা হলেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা। কেননা তাঁদের বকেয়া ডিএর পরিমান আকাশ ছোঁয়া – একবার স্যাট, একবার হাইকোর্ট করতে করতে তাঁদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। কিন্তু, রাজ্য সরকার সেই ব্যাপারে সামান্যতম সুরাহা দেওয়ার বদলে – কখনো জানিয়েছে ডিএ দয়ার দান! তো কখনো বলেছে রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয় – তাই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়!

ডিএ প্রসঙ্গে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘেউ ঘেউ’ মন্তব্য তো মাত্রা ছাড়িয়েছিল অপমানের বলে দাবি সরকারি কর্মচারীদের। এই নিয়ে ‘কুকুরের মুখোশ’ পড়ে ‘ঘেউ ঘেউ’ করতে করতে অভিনব আন্দোলন করতেও দেখা যায় তাঁদের। তবে শুধু ডিএ নিয়েই শেষ নয়, রাজ্য সরকারি কর্মীদের আরও এক বড় হতাশার জায়গা – পে কমিশন। চার বছর ধরে অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে পে কমিশনের কাজ চলছে, কবে তার রিপোর্ট জমা পড়বে কেউ জানেন না!প্রত্যেক ছমাস বাদাবাদেই অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায় এই পে কমিশনের মেয়াদ!

আর রাজ্য সরকারি কর্মীদের আরও অভিযোগ – এইসব নিয়ে সামান্যতম মুখ খুললেই আছে ‘বদলি সন্ত্রাস’! রাজ্য সরকার ডিএ-পে কমিশন নিয়ে সুরাহা দেওয়ার বদলে, এই নিয়ে কথা বোলো সরকারি কর্মীদের বদলি করে দেন সুদূর উত্তরবঙ্গে! ফলে, রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ হিসাবে তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালটকে। শুধুমাত্র পোস্টাল ব্যালটের হিসাব ধরলে রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪১ টি আসনেই হার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, তারপরেও অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয় নি বলে দাবি সরকারি কর্মীদের। কেননা নির্বাচনের ফল বেরোতেই আবারো পে কমিশনের মেয়াদ ৭ মাসের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, ডিএ মামলাতেও একইভাবে ‘রাজ্যের টাকা নেই, তাই দেওয়া যাবে না’ বলে সওয়াল চালিয়ে গেছে। অন্যদিকে নির্বাচনের প্রচারে এসে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি (অধুনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী) অমিত শাহ রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই বঞ্চনা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন! তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে – প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আর তাই, এবার রাজ্যের বর্তমান সরকারি কর্মীরা ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা দলে দলে আসতে শুরু করলেন গেরুয়া পতাকার তলায়। আজ বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও সায়ন্তন বসুর হাত ধরে এবং দেবাশীষ শীলের তত্ত্বাবধানে বিজেপির সদর দপ্তর ৬, মুরলীধর সেন লেনে কয়েকশো সরকারি কর্মী যোগ দিলেন বিজেপি প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী পরিষদে। কলকাতার বিভিন্ন রাজ্য সরকারি দপ্তরগুলির মধ্যে এদিন সরকারি কর্মচারী পরিষদে যোগ দিলেন – খাদ্য দপ্তরের সচিবালয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ফিশারিজ ডাইরেক্টরেট, অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ফোর্স, স্টেট ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি এর দপ্তরের কর্মীরা।

এছাড়াও, সরকারি কর্মচারী পরিষদে যোগ দেন – সমাজ কল্যাণ অধিকরণ, কেএমডিএ, পিডব্লুইডি ডাইরেক্টরেট, আবাসন দপ্তর ও মৌলালির এসএইচটিও ড্রাইভার্স বিভাগের সরকারি কর্মীরা। যোগদান অনুষ্ঠানের পরে সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার বিভিন্ন ‘শ্রী-প্রকল্প’ নিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে চায়, অথচ সেই প্রকল্পগুলি যাঁরা বাস্তবে রূপায়ন করছেন সেই সরকারি কর্মীদের সবথেকে ‘বিশ্রী’ হাল করে রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মীরা নিশ্চিত রাজ্যে বর্তমান সরকারের পরিবর্তন নাহলে নিজেদের ন্যায্য পাওনা পাওয়া যাবে না। তাই সেই পরিবর্তনের লক্ষ্যে সকলেই এখন গেরুয়া শিবিরে আসছেন, আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মচারীরা আরও বেশি সংখ্যায় সরকারি কর্মচারী পরিষদে যোগদান করবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!