এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যের হেভিওয়ের মন্ত্রীর ‘অসৌজন্যমূলক’ চিঠি সর্বসমক্ষে প্রকাশ করে বিতর্ক বাড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়

রাজ্যের হেভিওয়ের মন্ত্রীর ‘অসৌজন্যমূলক’ চিঠি সর্বসমক্ষে প্রকাশ করে বিতর্ক বাড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়


এদিন ইএসআই হাসপাতাল সম্প্রসারণের শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি এবং রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকই অনুপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ গাঙোয়ারের সামনেই রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর গরহাজিরকে ইস্যু করে তোপ দাগতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা স্থানীয় সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে। এছাড়া মেয়রেরও তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। অভিযোগে জানান, আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি তাঁরা।

অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে বিতর্ককে আরো একটু উসকে দিতে সভার মাঝেই প্রকাশ্যে আনেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রীকে দেওয়া রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর চিঠির প্রসঙ্গ। চিঠিতে লেখা ছিল “মলয়বাবুর দেওয়া চিঠির ভাষাটি অসৌজন্যমূলক। রাজনৈতিক সৌজন্যতার অভাবেই তাঁরা আসেননি। ” এমনটাই অভিযোগ বাবুল সুপ্রিয়র। যুক্তিতে তিনি জানান, মলয়বাবু চিঠিতে লিখেছেন কেন্দ্র সরকার হাসপাতালের জন্য এক টাকাও খরচ করেননি। হাসপাতালটি চলেছে সম্পূর্ণ রাজ্যসরকারের টাকায়। কিন্তু কথাগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ কেন্দ্র অনুমোদন না দিলে রাজ্য সরকার তা চালাবে কীভাবে? পাল্টা প্রশ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এএসআই-এর ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের ফুটস্টেপই অনুসরণ করেছে রাজ্যসরকার। নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি দাবী বাবুল সুপ্রিয়র।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

উল্লেখ্য,৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হতে চলেছে আসানসোলে ইএসআই হাসপাতালের নয়া ভবন। কিন্তু এই নির্মানপ্রকল্পকে কেন্দ্র করেই দফায় দফায় উঠছে বিতর্ক। এদিনও বিতর্ক পিছু ছাড়লো না। জানা গিয়েছে,এই হাসপাতালটি আবার মলয় ঘটকের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। একই প্রকল্পের দুবার উদ্বোধন করলেন বাবুল সুপ্রিয়। এর আগেও ২০১৫ -র ২৫ আগষ্ট ভবন সম্প্রসারণের শিলান্যাস করেছিলেন তিনি।

যদিও মানুষকে বোকা বানানোর জন্যেই একই প্রকল্পের দুবার শিলান্যাস করা হল। এমনটাই অভিযোগে জানিয়েছে তৃণমল। এ প্রসঙ্গে বাবুলবাবু জানান,গতবার প্রকল্পের জন্য মাত্র পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। সেটার শিলান্যাস করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অসহযোগী মানসিকতার কারণে আটকে থাকে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্পটি। তাই এটি করতে দেরি হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙোয়ার বলেন,হাসপাতালে আগে ১০০ টি বেড ছিল। এখন আরো ৫০ টি বেড বাড়ানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!