গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকাতে এবার অনুব্রতর নয়া বিধান – কাজ হবে কি? প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলে মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য September 14, 2018 রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে ফের বিতর্কে নাম জড়ালো বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের। তবে এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় নয়,বরং সহযোদ্ধাদের হুঁসিয়ারি দিয়েই বিতর্কে জড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কেষ্টা’। বীরভূমের সিউড়িতে দলীয় কার্যালয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেখানেই কথাসূত্রে ওঠে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রসঙ্গ। এ প্রসঙ্গে মতামত প্রকাশ করতে গিয়েই দলীয় অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক সভাপতিদের কড়া সতর্কবার্তা দেন তিনি। এরপরই চাঞ্চল্য শুরু হয় রাজনৈতিকমহলে। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবেন না তিনি। আর শৃঙ্খলা বজায় রাখার সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে দলের অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক সভাপতিদের। এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। সঙ্গে হুঁসিয়ারী মন্তব্যে এটাও জানান,যদি জেলায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে তৃনমূলের অন্দরে কোনো অশান্তি,গন্ডোগোল প্রকাশ্যে আসে তাহলে তিনি তার জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন ব্লক সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতিদের বিরুদ্ধে। সাফ কথায় জানিয়ে দেন, পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর পেলেই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দলীয় সভাপতিকে জেলে তো পাঠাবেনই, তাছাড়া দলের ব্লক সভাপতিকে তাঁর পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে। এরকম সতর্ক বার্তা দেওয়ার পর তিনি সঙ্গে জুড়ে আরো জানান, তাঁর বিশ্বাস এরপর নিশ্চয়ই আরো কোনো গোলমালের খবর কানে আসবে না। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অনুব্রত মন্ডলের সতীর্থদের প্রতি এদিনের হুঁসিয়ারী মন্তব্য করে আসলে বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের খবর রাজ্যবাসীর অজানা নেই। সেটা বুঝতে পেরেই এদিন অনুব্রত বাবু সতর্ক বার্তা দিলেন। এমনটাই বক্তব্য বিরোধীদের। জেলা জুড়ে অনুব্রত বাবুর মন্তব্যকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে সমস্ত বিতর্ক এড়াতে অনুব্রত মন্ডল এ প্রসঙ্গে জানালেন,পঞ্চায়েত প্রধান পদ নিয়ে দলীয় অন্দরেই অনেক মনোমালিন্য থাকে। সবার পছন্দ এক হয় না। এ নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়। তবে প্রধান পদে নির্বাচিত ব্যক্তিটি যদি ভালো কাজ না করে তাহলে ছ’মাস পরে তাকে অপসারণ করে তাঁর জায়গায় যোগ্য ব্যক্তিকে আনার নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ে কোনো গন্ডোগোল, মতবিরোধকে তিনি প্রশ্রয় দেবেন না, এমনটাই পরিষ্কার হয়ে গেল আজ তাঁর মন্তব্যে। আপনার মতামত জানান -