এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ডিএ পেতে গেলে আগে প্রমান করতে হবে ডিএ বেতনের অংশ, আরো চাপে সরকারি কর্মীরা

ডিএ পেতে গেলে আগে প্রমান করতে হবে ডিএ বেতনের অংশ, আরো চাপে সরকারি কর্মীরা

ডিএ মামলা যত এগোচ্ছে ততই বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে মামলা লড়া সংগঠনগুলি। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর বি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ এবার সরাসরি প্রশ্ন তুলে দিলেন, ডিএ কি বেতনের অংশ? যদি হয় তবে তার কি প্রমান আছে? একইসঙ্গে বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, ডিএ কর্মীদের নিজস্ব আয়, এই তত্ত্বও মামলাকারীকে প্রমাণ করতে হবে। আর বিচারপতিদের এই প্রশ্নের পরে স্বভাবতই মামলাকারীরা কিছুটা ব্যাকফুটে।

যদিও মামলাকারীদের আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি বিচারপতিদের কাছে সওয়াল করেছেন,
১. সংবিধানের ৩০৯ নম্বর সনদ অনুসরণে রোপা রুল তৈরি হওয়ার পর ১৯৭৯ সাল থেকে তা দেওয়া হয়ে আসছে
২. মুদ্রাস্ফীতির কবল থেকে সরকারি কর্মীদের রক্ষা করতে ‘কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স’ বা সিপিআই অনুসরণে মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে থাকে
৩. প্রতি ছয় মাস অন্তর যা নির্ধারিত হয়, রাজ্য এক্ষেত্রে সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে
৪. যে কারণে রাজ্য সরকার ২০০৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রোপা অনুসরণেই এই প্রসঙ্গে গেজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ করেছিল
৫. উল্টোদিকে তার আগে কমিশন তার রিপোর্টে বলেছিল, রাজ্য ঠিকভাবে এক্ষেত্রে নিয়মনীতি অনুসরণ করেনি
৬. ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত যে মহার্ঘ ভাতা বকেয়া হয়েছিল, তা কীভাবে দেওয়া হবে, তা ঠিক করার জন্য রাজ্যই দু-দু’টি মেমো প্রকাশ করেছিল
৭. পরবর্তীকালে রাজ্য বলছে, মহার্ঘ ভাতা পাওয়া কর্মীদের অধিকার নয়
৮. আইনমাফিক তৈরি হওয়া নিজ কর্মীদের ডিএ প্রদান পদ্ধতি সরকার অস্বীকার করতে পারে না
৯. সংবিধানের ৩০৯ নম্বর সনদ অনুসরণে ‘রোপা রুল’ তৈরি হয়েছিল
১০. তাই যতক্ষণ না তা সংবিধানবিরুদ্ধ বলে ঘোষিত হচ্ছে, ততক্ষণ তা সম্পূর্ণ বৈধ

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!