এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ইসলামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল, উঠল শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

ইসলামপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল, উঠল শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি


ইসলামপুরের ছাত্র বিক্ষোভে দুটি তরতাজা প্রান চলে গেল পুলিশি গুলিতে। সরকারের তরফে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এই ঘটনায় রাজনৈতিক স্বার্থ খুঁজতে এবার সেই শাসকের বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়ল বাম-বিজেপি এবং কংগ্রেস। গতকালই এই ব্যাপারে শাসকের বিরুদ্ধে মৌখিক ভাবে সুর চড়ালেও মহরমের কারনে মাঠে দেখা যায়নি কাউকেই। কিন্তু আর তো থামলে চলে না, তাই এবারে আজ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনেরাই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে পথে নামতে চলেছে।

সূত্রের খবর, আজ সারা রাজ্য জুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। পাশাপাশি বামেদের নটি ছাত্র যুব সংগঠনও মৌলালিতে একটি সভা ডেকেছে। এদিকে বামেদের ছাত্র সংগঠনের ডাকা এই বনধকে সমর্থন করেছে কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদ। অন্যদিকে আজ দুপুরে উল্টোডাঙায় বিজেপির অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদও বিক্ষোভ দেখাবে বলে খবর। জানা গেছে, আজ ইসলামপুরের এই ঘটনায় সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বাম পরিষদীয় দলের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যাবেন।

এদিন এই ব্যাপারে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃনমূলের আমলে বাংলা বুলেট হয়ে দাড়িয়েছে। ইসলামপুরে শিক্ষকের অভাব সকলের সাথে আলোচনা করে মেটানো গেলেও পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে লাঠি এবং গুলি চালিয়ে ছাত্রদের প্রান নিয়ে নিয়ে নিল প্রশাসন। আমরা এই ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করছি।” অন্যদিকে এদিন এই ইসলামপুরের ঘটনা নিয়ে তৃনমূলকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “সরকার নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে আরএসএসকে দায়ী করছেন। কোথাও তোলাবাজি, কোথাও মারামারির পর শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনাও এই রাজ্যের উদাহরন হয়ে রইল। আমরা শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চাই এবং সিবিআই তদন্ত চাই।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

মুখ খুলেছে কংগ্রেসও। এই প্রসঙ্গে এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের নবনির্বাচিত সভাপতি সৌমেন মিত্র বলেন, “নির্লজ্জ একটি সরকার চলছে। পুলিশের গুলিতে তরতাজা দুটি প্রান চলে যাওয়ার পরেও সরকারের কোনোও নেতা মন্ত্রীর মুখে সমবেদনার কথা শোনা গেল না।” তবে শুধু বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপিই নয়, ইসলামপুরের এই ঘটনায় এনসিপির রাজ্য নেতা নজরুল ইসলামও এক বিবৃতি দিয়ে দোষী পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। সব মিলিয়ে ইসলামপুরের ছাত্র মৃত্যুতে প্রশাসনকে চাপে ফেলতে সরকারের বিরুদ্ধে সকলে মাঠে নামলে সরকার এবং তৃনমূল দল বা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে কোনোও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!