এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ফের বিজেপির পাল্লা ভারী, সাংসদের হাত ধরে কাউন্সিলর সহ শতাধিক কর্মী গেরুয়া শিবিরে

ফের বিজেপির পাল্লা ভারী, সাংসদের হাত ধরে কাউন্সিলর সহ শতাধিক কর্মী গেরুয়া শিবিরে


এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির প্রবল উত্থানের পরই শাসক দল থেকে একাধিক হেভিওয়েট নেতা, বিধায়কদের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। কিছুদিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে একাধিক বিধায়ক এবং তৃণমূলের দখলে থাকা একাধিক পৌরসভার কাউন্সিলরদের হাতে পদ্ম শিবিরের পতাকা ধরিয়ে তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য তথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

আর দিল্লিতে এই দলবদল পর্বেই বিজেপি নেতার গলায় শোনা গিয়েছিল যে, এটা প্রথম দফা। আরও ছয় দফায় ধীরে ধীরে এই দলবদল প্রক্রিয়া চলবে এবং এর ফলেই তৃণমূল ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। আর মুকুল রায়ের এই দাবির সঙ্গে বাস্তব যে অনেকটাই সত্যি তা পরোতে পরোতে মিলে গেল। তবে এবার আর তৃণমূল নয়, পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার 2 বাম কাউন্সিলর সহ শতাধিক বাম কর্মী-সমর্থক এবার পা বাড়ালেন বিজেপিতে।

বস্তুত, এবার এই পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রটি দখল করেছে গেরুয়া শিবির। জয়ী হয়েছেন বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। আর বিজেপির এই সাংসদ এদিন জেলায় পা রাখতেই বাম শিবিরে ধ্বস নামে। সূত্রের খবর, এদিন শতাধিক কর্মী নিয়ে ঝালদার 12 নম্বর ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লক কাউন্সিলর তপন কান্দু ও 11 নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর মমতা কুইড়ি এদিন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন। এর ফলে এবার এই ঝালদা পৌরসভায় প্রথম খাতা খুলল বিজেপি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে ঝালদা পৌরসভার তৃণমূলের 8, কংগ্রেসের 2 এবং বামেদের দুইজন কাউন্সিলর বিজেপির দখলে আশায় বিজেপির দুইজন কাউন্সিলার হল। কিন্তু কেন তারা বাম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তপন কান্দু বলেন, “বর্তমানে এই রাজ্যে বিজেপির কোনো বিকল্প নেই। তৃণমূল নিজের জায়গা খুইয়েছে। জেলায় গেরুয়া ঝড় বইতে শুরু করেছে। আর তাই সেই স্রোতেই আমরা গা ভাসালাম।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “জেলায় বিজেপির হাতকে শক্ত করতে এবং উন্নয়নের শরিক হতেই ওনারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন।” তবে দিনকে দিন বিজেপির যেভাবে উত্থান বাড়ছে, তাতে ঝালদা পৌরসভায় বামেদের দুই কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এখন তৃণমূল এবং কংগ্রেসে থাকা কাউন্সিলরাও বিজেপিতে যোগ দেন কি না এবং এই ঝালদা পৌরসভা শেষপর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের দখলেই যায় কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!