এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আজকেই কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, জোর জল্পনা

আজকেই কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, জোর জল্পনা

অবশেষে কি আজই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে! নিজের হাতে তৃণমূলকে সাজিয়ে তোলা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাংগঠনিক রূপকার বিপ্লব মিত্র কি অবশেষে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন! সূত্রের খবর, আর কিছুসময়ের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা বিপ্লব মিত্র নিজের হাতে গেরুয়া শিবিরের পতাকা তুলে নিতে চলেছেন। তবে প্রকাশ্যে অবশ্য এখনই কেউ এভাবে ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ।

গতকাল থেকে বিপ্লব মিত্র এবং তার ভাই তথা গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাদের দুজনের ফোনই সুইচ অফ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, সারা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোথাও এদিন প্রশান্ত বাবু এবং তার মেজদা বিপ্লব মিত্রকে দেখা যায়নি।

ফলে লোকসভা ভোটের ভরাডুবির পর তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের হারের পেছনে বিপ্লব মিত্রই দায়ী বলে অভিযোগ করে তাকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তিকে যে সেই বিপ্লব মিত্র দ্বিগুণ ভাবে বাড়িয়ে দিতে চলেছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহল।

জল্পনা ছড়িয়েছে , আজই দিল্লি অথবা কলকাতায় বিপ্লব মিত্র এবং তার অনুগামীরা বিজেপিতে যোগ দেবেন। যেখানে তার সাথে রয়েছেন গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের একাধিক সদস্য। তাহলে কি সত্যিই বিপ্লববাবুর বিজেপিতে অভিষেক প্রায় পাকা! তিনি কি তাহলে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি বিপ্লব মিত্রের ভাই সার্দুল মিত্র বলেন, “সবই গুজব। দাদা বাড়িতেই রয়েছেন।” তবে সার্দুলবাবু যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন, বিপ্লববাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষদের মুখে কিন্তু শোনা যাচ্ছে অন্য কথা।

এদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিপ্লব অনুগামী বলে পরিচিত জেলা পরিষদের‌ এক কর্মাধক্ষ বলেন, “দলের জন্মলগ্ন থেকে মেজদা জেলায় দলটাকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার হাত ধরেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের সংগঠন তৈরি হয়েছে। আজকে তাকে বাদ দিয়ে বহিরাগত একজনকে জেলা সভাপতি করে যেভাবে মেজদাকে অপমানিত করা হল, তাতে মেজদা ভীষণ দুঃখিত এবং মর্মাহত। উনি আর এখানে সম্মান পাচ্ছেন না। বিজেপি যদি ওনাকে সম্মান দেয় তাহলে তিনি ওখানে যেতেই পারেন। আমরা সবাই মেজদার সাথে আছি।”

আর এই ঘটনাতেই এবার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একদম বুথ লেভেলের কর্মীদেরকে চেনা বিপ্লব মিত্র যদি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান, তাহলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষের কপালে যে বড়সড় চিন্তার ভাঁজ পড়তে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। তবে তৃণমূলের একাংশের বক্তব্য, দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা। তাই নেত্রীর ছবি সরিয়ে নিলে কারও দু’পয়সা দাম থাকবে না।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে যারা এখন এই কথা বলছেন, সেই তারাই একসময় বিপ্লববাবু ছাড়া কার্যত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে অচল ছিলেন। কেননা এই জেলায় প্রায় প্রত্যেকেই যারা এখন তৃণমূল করেন, তাদের সিংহভাগই বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে এসেছেন।

ফলে একসময় নিজেদের রাজনৈতিক গুরু বলে পরিচিত বিপ্লব মিত্রকে এখন সেই তারাই রাজনীতিতে অচল করে দিতে চাইলেও রাজনৈতিক বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে নাম লিখিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদৌ বিস্ফোরণ ঘটান কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

যদিও আজকেই বিজেপিতে তিনি যাচ্ছেন কিনা এই নিয়ে খটকা থেকে যাচ্ছে কেননা মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বার্গিও দুজনেই কলকাতায় তাই দিল্লি থেকে যোগদানের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম। তবে কলকাতার সদর দপ্তরে যোগদান হবে কিনা এই নিয়ে মুখ খুলছেন না কেউই।ফলে জল্পনা বাড়ছে বই কমছে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!