এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > খুনে অভিযুক্তর সঙ্গে এক মঞ্চে মদন মিত্র, শোরগোল হরিদেবপুরে

খুনে অভিযুক্তর সঙ্গে এক মঞ্চে মদন মিত্র, শোরগোল হরিদেবপুরে


খুনির আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান সদস্য প্রাক্তন মন্ত্রী| ব্যাপারটা যেমন আলোচনীয় ঠিক নাম দুটোও সমালোচনীয়| মদন মিত্র আর নান্টি ওরফে বাবলু ঘোষ| এখন প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী আর একজন খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত |  ফলে প্রশ্ন উঠছে নান্টির আয়োজিত রক্তদান শিবিরে হাজির হয়ে তাকেই কি সার্টিফিকেট দিচ্ছেন মদন মিত্র? এদিন মদন মিত্রের সাথে ছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। তাই হরিদেবপুরের মানুষজনের মুখে এখন একটাই কথা খুনে অভিযুক্ত নান্টিও তাহলে সমাজসেবী!

 

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ফরিদপুরের কবরডাঙা এলাকার একটি পানশালায় গুলি চালানোর ঘটনা জিতে ,তাতে প্রাণ হারান রাহুল মজুমদার নামে এক যুবক।আর আহত হন উত্তম সাহা এবং সঞ্জয় ছেত্রী নামের দুই অটোচালক ও।পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে পানশালায় নর্তকীদের সঙ্গে নাচগান করা নিয়ে গন্ডগোল বাধে যার জেরে গুলি চালায় নান্টি। সাথেই আরো বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার কাছে। তাঁরা জানতে পারেমন এই নান্টি আসলে এলাকার অন্ধকার দুনিয়ার একচ্ছত্র সম্রাট। আর এরপরেই নান্টি ও তাঁর সঙ্গী কালা কে গ্রেফতার করা হয়.তারা বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছে।

জানা যাচ্ছে এদিন হরিদেবপুর থানা এলাকার বোড়ালের নিবেদিতা পার্কের রানিয়া সহযাত্রী সংঘের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় রক্তদান ও বস্ত্রদান শিবিরের। আর সেই রক্তদান শিবিরের আহ্বায়ক ছিলেন নান্টি। আর তার সঙ্গে স্বমহিমায় উপস্থিত ছিলেন তার সঙ্গী কালাও। এদিকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, কয়েকজন তৃণমূল নেতা এবং রাজপুর সোনারপুর এলাকার কাউন্সিলর গৌরহরি দাস। এবার তাই প্রশ্ন উঠছে খুনির আয়োজিত অনুষ্ঠানে মদন মিত্র কেন এলেন?

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে এই নিয়ে এতটুকুও বিচলিত নন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদনবাবু। বরং তিনি জানালেন যে আমি তো কোনও MLA কিংবা MP নই। সাথেই জানালেন যে “যেহেতু আমার কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই, তাই মানুষ ‌আমার কাছে পুজো-আর্চা নিয়ে আসে। আমি ভদ্র কালী বা কৌশিকী অমাবস্যা দেখে যাই। মায়ের ভক্ত কে? তার লিস্ট আমার কাছে থাকে না। মাকে যখন প্রণাম করি তখন আমার পিছনে এসে কে দাঁড়িয়েছে তা আমি বলতে পারব না। ” সাথেই তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তি টেনে আনলেন তারাপীঠের কৌশিকী অমাবস্যার। বললেন, “তারাপীঠে যে কৌশিকী অমাবস্যা হল তাতে ১০ লাখ মানুষ হলে তার মধ্যে কত লাখ মানুষের নামে যে পরোয়ানা আছে, বোধহয় মা নিজেও জানেন না। তো মা যখন জানেন না আমি জানব কী করে? ” এরপরে তাঁর আসার কারণ হিসাবে জানালেন, “আমি এটুকু জানি যারা নিয়ে গেছিল, তারা অত্যন্ত ভালো সংগঠক। একদম খারাপ হলেও এক হাজারের উপর মহিলা ছিলেন অর্থাৎ বাড়ির মেয়েরা ছিলেন। নিশ্চয়ই গুন্ডা-বদমাশ হলে বাড়ির মেয়েরা এগিয়ে আসতেন না। ফলে, কে গুন্ডা কে খারাপ, তা আমি কী করে বুঝব। আমি যখন কোনও একটা অ্যাপ ক্যাবে রাস্তায় ঘুরি, তখন তার ড্রাইভার দাউদ ইব্রাহিমের ডান হাত নয় আমি কী করে বুঝব? ড্রাইভারের তো KYC থাকে না, কাস্টমারের থাকে। আমি বলব এটা তো শক্তি পুজো। চিরকাল শক্তিমানেরাই তো কালীপুজো করে এসেছে। এই পুজোয় যত শক্তিমানেরা মা কালীর পুজোয় যত ব্রতী হবেন, হিংসাকারীরা তত পিছু হঠবেন। ” এরপর রসিকতা করে জিজ্ঞাসা করলেন ” তা কোথায় দেখা যাবে এটা সিনেমায়, ডিজিটালে নাকি চ্যানেলে? আমি এটাকে টুইট করব।”সব মিলিয়ে মদনবাবু যে বিন্দাস তা আবার প্রমান করলেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!