এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দিদির ধমকের পরেও বিধায়ক-মন্ত্রীর অনুগামীদের লড়াই অব্যাহত, চিন্তা বাড়ছে শাসকদলে

দিদির ধমকের পরেও বিধায়ক-মন্ত্রীর অনুগামীদের লড়াই অব্যাহত, চিন্তা বাড়ছে শাসকদলে


এ যেন “রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়।” গত বৃহস্পতিবার দলের কোর কমিটির বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের সমস্ত দলীয় নেতাকে একযোগে কাজ করার বার্তা দিলেও সেই কথা ঠিক মতো নিজেদের কর্ণকুহরে প্রবেশই করাননি সেখানকার নেতারা। যার ফলশ্রুতি হিসেবে কোচবিহারের চান্দামারীতে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে অভিযোগ উঠেছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

জানা গেছে, চান্দামারী বুথ সভাপতি তথা জেলার এক তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর অনুগামী বলে পরিচিত কনক বর্মনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে জেলার তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীর বিরুদ্ধে। জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বনাম মিহির গোস্বামী লড়াই এ জেলায় নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি এই লড়াই আরও বৃদ্ধি পায় যখন জেলারই সাংসদ পার্থ প্রতিম রায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে যান। এই লড়াই থামাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তা সত্বেও কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি, তা ফের প্রমান হয়ে গেল। চান্দামারী আক্রান্ত বুথ সভাপতি কনক বর্মন এদিন বলেন, “বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীরাই আমাকে এবং আমার দাদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরেছে।” কনক বাবুর দাদা জনক বর্মণ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য পদেন বর্মনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে পদেন বর্মন বলেন, ” মিহির গোস্বামীর অনুগামী হয়ে ওরাই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করছে।” এ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাবো।তবে কোথাও যাতে এরূপ গন্ডগোল না হয় তার জন্য কর্মীদের নির্দেশও দেব।অন্যদিকে কলকাতায় থাকার কারণে জেলায় ফিরে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ সত্ত্বেও যেভাবে নিজেদের ব্যক্তিগত শক্তি প্রদর্শনের খেলায় নেমেছেন এ জেলার তৃণমূল নেতারা তাতে এইভাবে চলতে থাকলে আগামীদিনে কোচবিহারের চরম সমস্যায় পড়বে সেখানকার তৃণমূল নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!