নরেন্দ্র মোদী ও নীতিশ কুমারের মধ্যে সেতুবন্ধ অরুন জেটলি, ৮ জুলাইয়ের দিকে তাকিয়ে সবাই জাতীয় July 5, 2018 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে নয়া সমীকরণের সম্ভবনা তৈরী হয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমারএর সাথে সম্পর্কের পুরনো রসায়ন আরও একবার পরীক্ষা করে নিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য আগামী ৮ ই জুলাই দিল্লীতে জেডিইউয়ের দলীয় বৈঠক । ঐ বৈঠকের আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে তাঁর নৈশভোজ পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে নৈশভোজ চলাকালীন সময়েই তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে আসন সমঝোতার বিষয়ে ঘরোয়া চালে কথা বলে রাখতে চাইছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে আবার ১২ ই জুলাই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে নীতীশ কুমারের ‘চায়ে পে চর্চা’ র পরিকল্পনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে বন্ধুর সাথে নৈশভোজ চলাকালীন কথা বার্তার ওপরেই নির্ভর করবে আগামী দিনে অমিত শাহ’র সাথে নীতীশ কুমারের বৈঠক। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে নীতীশ কুমারের নৈশ ভোজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে জেডিইউ সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী , বিষয়টিকে আদৌ সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে হালকা চালে বললেন, ”নীতীশজি এবং অরুণজি পুরনো বন্ধু। দু’জনের দেখা হতেই পারে। এ নিয়ে বলার কী আছে!” নীতীশ কুমার ঘনিষ্ঠ কে সি ত্যাগী নৈশভোজের অনুষ্ঠানকে সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে দেখলেও গত কয়েক দিন যাবত নীতীশ কুমার যে সকলের সাথে দূরত্ব তৈরী করেছেন একথা কারোরই অজানা নয়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সচিবালয়ের এক অধিকর্তা নীতীশ কুমারের এই নিশ্চুপ থাকার প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত অভিমত জানিয়ে বললেন, ”মুখ্যমন্ত্রীর শরীর ভাল যাচ্ছে না। সে কারণেই কাজের চাপ কম নিচ্ছেন।” এদিকে রাজনৈতিক মহল মতে গত বছর জুলাইয়ে একই অবস্থান নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। ঐ সময়ে কারোর সাথেই তিনি সাক্ষাৎ করেননি এমনকি কথাও বলেননি। আর তারপরেই হঠাৎ একদিন মহাজোট ভাঙার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গত বছরের ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে চলতি বছরে রাজনৈতিক মহল যে নিশ্চিত ভাবেই চাপের মুখে রয়েছে সে কথা আলাদা করে বলার দরকার পড়েনা। আপনার মতামত জানান -