এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নারকীয় ও দানবীয় গণহত্যার নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে অমর, অক্ষয় করার আহ্বান শুভেন্দু অধিকারীর

নারকীয় ও দানবীয় গণহত্যার নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে অমর, অক্ষয় করার আহ্বান শুভেন্দু অধিকারীর

2007 সালের 10 ই নভেম্বর। তৎকালীন বাম সরকারের নৃশংস অত্যাচারের সাক্ষী হয়েছিল গোটা নন্দীগ্রাম। 13 জন শহীদের আত্মত্যাগে আজ রাজ্যে পরিবর্তন এসেছে। রক্তে ভেজা নন্দীগ্রামের মাটিতে আজ তৃণমূল সরকারের উদ্যোগে চলছে ব্যাপক উন্নয়ন। কিন্তু অতীতের সেই লড়াই-সংগ্রাম, শত শত মানুষের আত্মবলিদানকে নবীনদের মনে করিয়ে দিতে প্রবীনদের দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিলেন খোদ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবারের ন্যায় এবারও সেই 10 ই নভেম্বর উপলক্ষে গতকাল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে গোকুলনগরের করপল্লীতে একটি শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, বিধায়ক ফিরোজা বিবি, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান, নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের সহ অন্যান্যরা। এদিন এই শহীদ স্মরনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অতীতের সমস্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

জানা যায়, 2007 সালের 10 ই নভেম্বর এই নন্দীগ্রামে 13 জন ব্যক্তি শহীদ হয়েছিলেন।শ্যামলী মান্না, রেজাউল করিম, আদিত্য বেরা সহ 11 জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুচি কুচি করে কেটে সাগরের জলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন অনেকে। এমনকি গুলিবিদ্ধ ভিকিন গায়েন, যাদব পাল ও কল্পনা মুনিয়ানের মুখ চাপা দিয়ে তাদের পশ্চিম মেদিনীপুরে পাচার করারও চেষ্টা হয়েছিল।

এই সমস্ত ঘটনায় বর্তমান প্রজন্মকে জানাতে হবে বলে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সেই সময়কার বাচ্চা ছেলেরা আজকে যুবক হয়েছে। তাই প্রবীণ ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে বলছি, সেদিনের ইতিহাস আপনারা নবীনদের বুঝিয়ে বলবেন। তাহলেই ওরা বুঝতে পারবে যে, কি কঠিন সংগ্রাম ও কৃচ্ছসাধনের মধ্যে দিয়ে আমরা সেদিন লড়াই করেছিলাম। বামেরা এই নন্দীগ্রামে যত অত্যাচার করেছে, ব্রিটিশরাও এত অত্যাচার করেনি। তাই আমাদের এই আন্দোলনকে অমর, অক্ষয় করে রাখবার জন্য সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে।”

পাশাপাশি নন্দীগ্রাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিচার প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি দাবি করেন রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশমন্ত্রী। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সংগ্রামী ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে কি আদৌ অন্তর্ভুক্ত করা উচিত!

সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে এদিন রাজ্যের পরিবহন ও পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কেউ যদি মনে করেন তবে তিনি তা করবেন‌। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ কখনো আবেদন-নিবেদনে বিশ্বাসী নয়ৃ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমরা নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছি। 41 জনের প্রাণ, 300 মহিলার সম্ভ্রম ও 1200 বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

একাংশের মতে, নন্দীগ্রামের বামেদের। নৃশংস অত্যাচারের বিরুদ্ধে এই গণআন্দোলনে মূল সম্রাট ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেক লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছেন এই তৃণমূল নেতা। আর তাইতো নন্দীগ্রামের মানুষদের সাথে তার একটা আবেগ জড়িত। ফলে এদিন সেই নন্দীগ্রামের শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে এ যেন এক অন্য শুভেন্দু অধিকারীর পরিচয় পেল সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!