এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের উপর চাপ বাড়িয়ে লোকসভার আগেই বড় পরিবর্তন বিজেপিতে? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা

নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের উপর চাপ বাড়িয়ে লোকসভার আগেই বড় পরিবর্তন বিজেপিতে? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট নেতা

গো-বলয়ের বিধানসভা নির্বাচনের হার সামলে পারল না বিজেপি,তার মধ্যেই শরিকদলের ধাক্কা সহ্য করতে হচ্ছে গেরুয়াশিবিরকে। ওদিকে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে আসছে। দ্বিমুখী চাপে নাঝেহাল অবস্থা মোদী-শাহের। এসবের মাঝেই বিজেপির মধ্যেই আরেক বিজেপি শিবির তৈরি হচ্ছে যেন! লবির নেতারা উল্টো সুর গাইতে শুরু করেছে লোকসভা ভোটের আগেই।

মোদী-শাহবিদ্বেষী রূপ দফায় দফায় প্রকাশ্যে আনছেন তাঁরা। সম্প্রতি কারোর নাম না করেই ক্যাবিনেট মন্ত্রী নীতীন গড়করি প্রকাশ্যে সভায় বিধানসভা ভোটের বিজেপির খারাপ পারফরমেন্সের দায় চাপিয়েছিলেন মোদী-শাহের ঘাড়ে। নীতীন গড়করির এই দোষারোপ যে আসলে বিজেপির অন্দরের ক্ষোভকেই প্রকাশ্যে এনেছে এ আর বুঝতে বাকি নেই রাজনৈতিকমহলের। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি সরকারকে আরো চাপে ফেলতে অপ্রত্যাশিত প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন বরিষ্ট বিজেপি নেতা সংঘপ্রিয় গৌতম।

গতকাল সংঘপ্রিয় গৌতম দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে নীতীন গড়করিকে উপপ্রধান এবং শিবরাজ সিংকে বিজেপির সর্বভারতীয় প্রধান করার দাবী করেছেন তিনি। এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিকমহলে।

এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান জাতীয় বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহের ভবিষ্যৎ নিয়ে। অমিত শাহকে রাজ্যসভার দলে পাঠানোর দাবী জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। শুধু তাই নয়,উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ধর্মকর্ম নিয়েই থাকতে দেওয়া হোক,এমনটাও দাবী করেছেন অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলের এই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।

নরেন্দ্র মোদীকে দলের সবথেকে প্রভাবশালী নেতা হিসাবে মেনে নিলেও ১৯’এর লোকসভা ভোটে তাঁর ভাবমূর্তি আদেও কাজে আসবে কিনা তা নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করলেন গৌতম। জানালেন,২০১৪ সালের সেই মোদী-ম্যাজিক ১৯ আসতে আসতে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। গত লোকসভা ভোটে শুধু নরেন্দ্র মোদীর নামটাই যথেষ্ট ছিল ভোট জয়ের জন্য। এতোটাই জনপ্রিয় নেতা ছিলেন মোদী৷

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বর্তমানে দেশে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ঝড় উত্তাল। এই ঝড়ে বিজেপি আদৌ টিকতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি করে দিয়েছে সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বিজেপি নজিরবিহীন খারাপ ফলাফল। বিজেপির এই অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতার দাবী,লোকসভা ভোটে বিজেপির জয় নিয়ে ঘোর চিন্তায় রয়েছে দলীয় কর্মীরাও৷ নিজের বক্তব্য সমর্থনে যুক্তি দিতে কেন্দ্র সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি।

তাঁর দাবী,মোদীর তুঘলকি সিদ্ধান্তের জন্যে মাশুল দিতে হচ্ছে দেশবাসীকে। রাফাল কেলেঙ্কারি,লাগাতার পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধি থেকে শুরু করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক,সিবিআইয়ের অন্তর্দ্বন্দ্ব ইত্যাদি একাধিক ইস্যুতে সাধারণ মানুষ ক্ষেপে রয়েছে মোদীর উপর। তাই বেশিরভাগ সাধারণ মানুষেরই সমর্থন নেই বিজেপির দিকে।

সেজন্যেই ২০১৪ সালের মতো মোদীর ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে ১৯’এর ভোট-বৈতরণী পার করতে পারবে না বিজেপি,এমন যুক্তিকে সামনে রেখেই নীতীন গড়করি,শিবরাজ সিং চৌহানদের মতো ব্যক্তিত্বদের সামনে রেখেই লোকসভা ভোটযুদ্ধে নামার পরামর্শ দিলেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!