এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সিদ্দিকুল্লা-তৃণমূল সমীকরণে বড় সিদ্ধান্ত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের, জট কি বাড়ছে?

সিদ্দিকুল্লা-তৃণমূল সমীকরণে বড় সিদ্ধান্ত জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের, জট কি বাড়ছে?

রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী পঞ্চায়েত ভোটে সার্বিকভাবে শাসকদলের অবস্থান নিয়ে রীতিমত ক্ষিপ্ত। প্রকাশ্যেই প্রায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে ফেলেছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এমনকি, রাজনৈতিক মহলে এমনও জল্পনা ছড়ায়, তিনি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনো সুরাহা না মেলায় তিনি মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। কেননা তার আগে তিনি মন্ত্রিসভার গুরুত্ত্বপূর্ন বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন, এমনকি প্রতিবাদ জানাতে সরকারি গাড়ি ও নিরাপত্তারক্ষী পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার আলোচনায় বসে তাঁর দল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। সিদ্দিকুল্লা সাহেবের অভিযোগ মূলত দুটি – এক, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন-পর্বে শাসক দলের ভূমিকা সমর্থনযোগ্য নয়। দুই, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর পছন্দের প্রার্থীদের কোনো টিকিট দেননি এলাকার দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত নেতা অনুব্রত মন্ডল, উল্টে যা করেছেন তাতে রীতিমত অপমানিত সিদ্দিকুল্লা-শিবির।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

তবে রবিবারের আলোচনার পর, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আপাতত মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করবেন না সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তবে উপরের মূল অভিযোগগুলি নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে। সরাসরি আবার চিঠি পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার সঙ্গেই, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ মেনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জমিয়তের নেতৃত্ত্বের কথা অনুযায়ী উপরের অভিযোগগুলি নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ থাকলেও, দল এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না যাতে রাজ্যে বিজেপির জমি শক্ত হয়। আর তাই এই মুহূর্তে তৃণমূলের সঙ্গে জোট না ভেঙে, পুনরায় আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, এর সঙ্গেই দলীয় আলোচনায় উঠে এসেছে – পূর্ব বর্ধমানে মাদক পাচারের অভিযোগে বহু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের কর্মীকে ‘ফাঁসানো’ হচ্ছে, এই নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আশু সমাধান করতে হবে। তবে শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্ব (পড়ুন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী) থেকে নির্দেশ এসেছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দাবি গুরুত্ত্ব সহকারে দেখতে হবে এবং এই ব্যাপারে দায়িত্ত্ব দেওয়া হয়েছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে, আর তাই সমস্যা শীঘ্র মিতে যাবে বলেই জমিয়তে নেতাদের ধারণা। তবে আদালতের নির্দেশে নতুন করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু না হলে এই পঞ্চায়েতে যে আর নিজেদের পছন্দের লোককে প্রার্থী করা যাবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে আদালতের রায়ের দিকে আগ্রহভরে তাকিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!