পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা অনেক হয়েছে, এবার সময় ‘কংক্রিট অ্যাকশনের’ – বড়সড় হুমকি প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক জাতীয় February 19, 2019 গত 14 ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মিরের পুলওয়ামায় নৃশংস পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হামলায় নিহত হয়েছেন ভারতের প্রায় 42 জন জওয়ান। যে ঘটনায় গোটা দেশে বর্তমানে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। আর ভারতীয় সেনাদের এই মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানের প্রতি এবার বদলায় রাস্তাতেই যাওয়া হোক এই দাবি তুলে সারাদেশ জুড়ে সাধারণ মানুষ মোমবাতি মিছিল থেকে শুরু করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন অনেকে। এমনকি এই ঘটনা ঘটার পরেই কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশ কঠোর রাস্তায় হাঁটবে। পাশাপাশি দেশের সেনাদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই অপেক্ষায় ছিল গোটা ভারতবর্ষ যে কখন পাকিস্তানের সেই জঙ্গিদের ঘাঁটিকে গুড়িয়ে দেবে ভারত! সম্প্রতি বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এই নৃশংস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলেন, “দেশবাসীর মতো আমার মনেও ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। খুব তাড়াতাড়ি সকলে সবকিছু বুঝতে পারবেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পর সোমবার পুলওয়ামায় সিআরপি বাহিনীর উপর হামলা এবং সেই সংঘর্ষ মেজর সহ 5 জনের মৃত্যুর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, এদিন ভারত সফরে আসা আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মরিসিও ম্যাক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে দমন করা প্রসঙ্গে একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার পরে বাইরে বেরিয়ে এসে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতস্তত করার দিন শেষ। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবার যোগ্য জবাব দেওয়ার পালা। তবে শুধু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নয়, যাদের এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, তারা এটাকে সমর্থন করে পরোক্ষভাবে যেভাবে দেশান্তরে জঙ্গিদের জ্বালিয়ে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এর জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, পরোক্ষে সেই জঙ্গিদের সমর্থন করছে যারা তাদের বিরুদ্ধেও সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’ এই কথা বলে আদতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চীনকেই একটি বার্তা দিতে চাইলেন। কেননা 14 ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নৃশংস জঙ্গী হামলায় নাম জড়িয়েছে জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গী সংগঠনের মাসুদ আজহারের। আর এই মাসুদ আজহারকে যখন ভারত বিশ্বজঙ্গী হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে, তখনই সেই প্রস্তাবকে নস্যাৎ করে দিয়েছে বেজিং। আর তাই এক কথায় সেই মাসুদ আজহারকে ইন্ধন দিচ্ছে চীন- এদিনের বৈঠক থেকে সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা করলেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব মিলিয়ে এবার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত যে কড়া পদক্ষেপ নেবে তা প্রধানমন্ত্রীর এদিনের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল। আপনার মতামত জানান -