এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পেনশন সংক্রান্ত কেস নিয়ে সাতদিনের রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর

পেনশন সংক্রান্ত কেস নিয়ে সাতদিনের রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর


গোটা রাজ্যজুড়েই ঝুলে থাকা বিভিন্ন মামলার মধ্য অন্যতম হল পেনশন সংক্রান্ত কেস নয়তো শিক্ষকদের গ্র্যাচুয়িটি না পাওয়ার সমস্যা। এনিয়ে গতকালের শিক্ষাদপ্তরের রিভিউ মিটিংয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গতকাল পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রে (EZCC) শিক্ষা দপ্তরের রাজ্যস্তরের পর্যালোচনা বৈঠকে বিভিন্ন জেলা স্কুলের পরিদর্শকরা নিজেদের জেলার স্কুলগুলোর সাফল্য,সমস্যা এবং এতোদিন কী কী কাজ হয়েছে তাঁর রিপোর্ট পেশ করেন।

বৈঠকেই আলোচনা হয় রাজ্যের প্রতিটি জেলার শিক্ষকদের পেনশন বা ইন্টারেস্ট অন গ্র্যাচুইটি সংক্রান্ত একাধিক কেসের কথা। একই ইস্যুতে এতো কেস জমে থাকতে দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকদের নির্দেশ দেন,আগামী ৭ দিনের মধ্যে কোন জেলায় পেনশন সংক্রান্ত কতোগুলো কেস চলছে তার রিপোর্ট পেশ করতে বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান,প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কোর্ট কেস পেন্ডিং আছে। এর মধ্যে আবার ৬০ শতাংশ বাম আমলের। এই কেসগুলোর বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখতে হবে। আর্থিক ব্যাপার হলে মুখ্যমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে। প্রাক্তন সরকারের গ্রাচুইটি পেমেন্ট দেরিতে হওয়া নিয়েই সবথেকে বেশি কেস হয়েছে। যারা দেরিতে টাকা পেয়েছেন তাদের ইন্টারনেট পাওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে।

এর পাশাপাশি রয়েছে পেনশন কেস। রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট দেওয়ার জন্য বর্তমান রাজ্যসরকারের তরফ থেকে অনলাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুলে থাকা কোর্ট কেসগুলিকে তালিকাবদ্ধ করে শিক্ষাদপ্তরে পাঠানো হলে সেটা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখে নেবে বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি জেলা স্কুল পরিদর্শকদের হুঁসিয়ারী দিয়ে জানান,সাতদিনের মধ্যে প্রত্যেক জেলায় কয়টি মামলা রয়েছে,তার রিপোর্ট পাঠাতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কী ধরনের মামলা, কোন আইনজীবী সেই মামলার দায়িত্বে রয়েছেন তা বিশদে রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রিপোর্ট পেশ না করলে যিনি ওই মামলা দেখার দায়িত্বে রয়েছেন, সেই আধিকারিককে পদচ্যূত করতে দুবারও ভাববেন না শিক্ষামন্ত্রী।

প্রসঙ্গত,গতকাল বৈঠকে প্রথম রিপোর্ট পেশ করে আলিপুরদুয়ার জেলা। এই জেলার শিক্ষকদের বেশ কিছু কোর্ট কেস ঝুলে থাকতে দেখে পরিদর্শকদের কড়া ধমক দেন শিক্ষামন্ত্রী। জলপাইগুড়িতে এখনো কেন ৩৪৪ টা কেস পেন্ডিং রয়েছে তা জানতে চান পার্থবাবু। বেশিরভাগ ঝুলে থাকা কেসগুলোই গ্র্যাচুইটি ইন্টারেস্ট নিয়ে,এমনটাই জানান জেলার পরিদর্শকরা।

এরপরই পার্থবাবু কড়াভাবে বলেন,”আপনারা কমিশনারকে দিয়ে দিন। আমরা নেগোশিয়েশনের চেষ্টা করব। এটা যেন সময়মতো হয় সেটা দেখতে হবে। যে রিটায়ার করবে তার ছয় মাস আগে থেকে সব রেডি করবেন। যার যত কেস আছে সেগুলি পেন্ডিং রাখা যাবে না। পেন্ডিং থাকলে তিনি DI বা SI যেই হন না কেন আমরা এই ব্যাপারে কঠোর হব।”

পেনশনের পাশাপাশি গতকালের বৈঠকে বিদ্যালয় পরিদর্শনের ব্যাপারেও সচেতন হতে বলেন পরিদর্শকদের। বলেন,স্কুলগুলির পরিকাঠামো ঠিক আছে কিনা তার জন্য জেলার স্কুলে স্কুলে গিয়ে পরিদর্শন করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় তৈরি মহিলা হোস্টেলগুলোও কাজে লাগানোর কথা জানান পার্থবাবু।

পাশাপাশি ইংরাজি মাধ্যম স্কুল তৈরির আগে তার পরিকাঠামো ঠিকঠাক আছে কিনা,শিক্ষকদের যথাযথ যোগ্যতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে বলেন জেলা পরিদর্শকদের। গর্জে উঠে বলেন,কেউ এল আর তাকেই নিয়ে নিলেন,এমনটা বরদাস্ত করা হবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!