এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পার্টি অফিসে বসেই ভোটের পর্যালোচনা করেছি – আমাকে তো দেখে নিতে হবে, কে কথা রাখল: অনুব্রত

পার্টি অফিসে বসেই ভোটের পর্যালোচনা করেছি – আমাকে তো দেখে নিতে হবে, কে কথা রাখল: অনুব্রত


প্রায় প্রতিবারই নির্বাচনের আগে খবরের শিরোনামে উঠে আসতে দেখা যায় বঙ্গ রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র কথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এবারও তার কোনরূপ ব্যাতিক্রম হয়নি। নকুলদানা খাওয়ানোর দাওয়াই দিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।

আর তার এই নকুলদানা দাওয়াইয়ের পেছনে প্রচ্ছন্ন হুমকির অভিযোগ তুলে কমিশনেও যেতে দেখা গেছে বিরোধীদের। আর শেষমেশ ভোটের দিন তাকে নজরদারি এবং তার ফোনটিকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছিল কমিশন। যার জেরে অনেকেই ভেবেছিলেন যে, ভোট চলাকালীন ভোট মেশিনারিকে প্রয়োগ করতে যে অনুব্রত মণ্ডলের ফোন বড় ভরসা, সেই ফোনটি কমিশনের পক্ষ থেকে বাজেয়াপ্ত করে তিনি কিভাবে জেলার ভোট কর্মীদের কাছে এই ভোট সম্পর্কে খবর নেবেন! কিন্তু এই সমস্ত কিছুকে কেয়ার না করে সকাল থেকেই নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে রীতিমতো কর্মীদের ফোন এবং দলের পার্টি অফিসের ল্যান্ডলাইন ফোন থেকে একের পর এক কর্মীদের কাছে ভোট সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে দেখা গেছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে।

গত 29 শে এপ্রিল এই বীরভূম জেলার দুটি লোকসভা আসনে ভোট পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিন আগেই অনুব্রত মণ্ডলের মা প্রয়াত হয়েছেন। আর ভোট মরসুমের মাঝে গত 27 এপ্রিল তার মায়ের নিয়মভঙ্গের দিন ছিল। কিন্তু সেদিন জেলায় ভোট প্রচারের শেষ দিন হওয়ায় কোনোরকমে বাড়ির বাছাই করা কুটুম্বদের নিয়ে সেই নিয়ম পালন করতে হয়েছিল তাকে। তবে সেদিন ছোট রকমের অনুষ্ঠান সারলেও আজ সবাইকে নিয়ে বৃহৎ আকারে সেই অনুষ্ঠান রয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মঙ্গলবার ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর বুধবার নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে কোথায় কত পোল হয়েছে এবং কিভাবে দলের কর্মীরা কাজ করেছেন সেই ব্যাপারে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তখনই তার বাজেয়াপ্ত করা ফোনটি তার কার্যালয়ে এসে ফেরত দেন কমিশন নিযুক্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। যা দেখে নিজের হাসি চেপে রাখতে পারেননি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি।

এই প্রসঙ্গে অনুব্রতবাবু বলেন, “সারাদিন পার্টি অফিসে বসে ভোটের পর্যালোচনা করেছি। আমাকে তো দেখে নিতে হবে যে কে কথা রাখল! এই ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর কলকাতায় একটু স্ত্রী এবং মেয়ের কাছে যাব। অন্যদিকে দিদি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের জন্য আমায় নির্দেশ দিয়েছেন। আমাকে তাও পালন করতে হবে।”

সব মিলিয়ে সদ্য প্রয়াত মায়ের স্মরনানুষ্ঠান শেষে এবং কলকাতায় ক্যান্সার আক্রান্ত চিকিৎসাধীন স্ত্রীকে সময় দিয়ে এবার ফের বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল ফোটাতে সেখানে প্রচারে শামিল হতে হচ্ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!