এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি, তাই পঞ্চায়েতের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন না তৃণমূল জেলা সভাধিপতি! তীব্র বিতর্ক শুরু রাজ্য জুড়ে

গেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি, তাই পঞ্চায়েতের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন না তৃণমূল জেলা সভাধিপতি! তীব্র বিতর্ক শুরু রাজ্য জুড়ে


কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প রাজ্য নিজের নামে চালাচ্ছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতারা। পাল্টা এই প্রকল্পগুলো তাঁদেরই, কিন্তু কেন্দ্র তা নিজেদের বলে ফায়দা তুলছে- এইরূপ অভিযোগ করে পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও।

আর এই অভিযোগ বনাম পাল্টা অভিযোগের রাজনীতিতে যখন সরগরম এই বাংলা, ঠিক তখনই এক সরকারি অনুষ্ঠানের মূল গেটে এবং মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগানো দেখে – কার্যত সেই অনুষ্ঠান উদ্বোধন না করেই ফিরে গেলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার। সূত্রের খবর, গতকাল আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের ভল্কা-বারোবিশা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে “আপনার পঞ্চায়েতে প্রশাসন” নামক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

যেখানে উদ্বোধক হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকারকে। জানা যায়, যেখানে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে সেই পঞ্চায়েতটি ছিল বিজেপির দখলে। তাই এই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে হওয়া অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চ এবং গেটের বেশ কিছু জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি লাগানো ছিল। আর তা দেখেই বেজায় চটে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি। উদ্বোধন না করেই অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে বিডিও সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এদিকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি চলে যাওয়ায় তড়িঘড়ি অনুষ্ঠানটিকেও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। আর এই নিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতিতে তো বটেই – এমনকি তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতেও। কিন্তু একটি প্রশাসনিক অনুষ্ঠান কেন এইভাবে উদ্বোধন না করেই চলে এলেন তিনি?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা মহিলা তৃনমূলের সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত হলেও বিজেপি এই কাজকে বানচাল করতেই এই রকম কাজ করেছে”। এদিকে শীলাদেবীর এহেন কাজকে সমর্থন করেছেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতি মোহন শর্মাও। তৃণমূল নেতৃত্ত্বের স্পষ্ট অভিযোগ – কেন সরকারি অনুষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা বা নেত্রীর ছবি থাকবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, এখানে মুখ্যমন্ত্রীরও ছবি ছিল। এই অনুষ্ঠানে যে প্রকল্পগুলির সুবিধা দেওয়া হয় তার বেশিরভাগই কেন্দ্রের প্রকল্প। তাই প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগালে অন্যায় কোথায়”? গেরুয়া শিবিরের স্পষ্ট অভিযোগ, আসলে নেতা-নেত্রীদের এহেন আচরণ থেকেই স্পষ্ট যে তারা শুধু নিজেদের শীর্ষস্তরের নেতাদের তোষামোদ করতেই ব্যস্ত।

গেরুয়া শিবিরের নেতাদের আরও বক্তব্য, এখানে বিজেপি নেতা হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর বা তৃণমূল নেত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না। ছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। কেউ যদি – এই সব সাংবিধানিক পদকেই না সম্মান জানান, তাহলে বুঝতে হবে রাজনীতি কোথায় যাচ্ছে! কোনো এক দলের নির্দিষ্ট কোন নেতার ছবি দেখেই যদি জনগণের জন্য প্রকল্পের উদ্বোধনের কাজ শিকেয় ওঠে তাহলে কার জন্য এই রাজনীতি? কার জন্যই বা ঢালাও প্রতিশ্রুতি? – প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে সাধারণ মানুষের তরফেও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!