এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আসনে বসছেন কে ?

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আসনে বসছেন কে ?

আর কয়েক মাস পর থেকেই বেজে যাবে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। আর তার আগেই নতুন সভাপতির কাঁধে বাংলার দ্বায়িত্ত্ব দিতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। আর শোনা যাচ্ছে যে আর অধীর চৌধুরী নন। এবার প্রদীপ ভট্টাচার্য ও দীপা দাশমুন্সি তার সাথে শোনা যাচ্ছে আর একটি নাম । তিনি হলেন সোমেন মিত্র। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে যে সভাপতির জন্য অভিজিত্‍ মুখোপাধ্যায় ও মৌসম বেনজির নূরের নামও ছিল। কিন্তু তাঁরা সভাপতি পদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। এদিকে যদিও অনেকে বলছেন অধীরবাবুর উপরেই আস্থা রাখছেন রাহুলগান্ধী তাই আবার তাঁকেই সভাপতিকরা হবে। কিন্তু দলের আরেক অংশের মতে অধীরবাবুকে চাইছেন না অনেকে আর সেকথা রাহুল গান্ধীর কানেও পৌঁছেছে। আর তাই আগামী মাসেই নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা করবেন তিনি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এদিকে প্রশ্ন উঠেছে যে সভাপতি পদে অধীর চৌধুরী , দীপা দাশমুন্সি ও প্রদীপ ভট্টাচার্য ও সোমেন মিত্র- র মধ্যে কার সম্ভাবনা বেশি। এই নিয়ে রাজনৈতিকমহলে শুরু দ্বন্দ্ব – কেননা অধীর চৌধুরী ,দীপা দাশমুন্সি ও প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রত্যেকেই স্ব মহিমায় রয়েছেন। কেউ কারোর থেকে কম যান না।
কিন্তু তাতেও রাজনৈতিকমহল প্রদীপ ভট্টাচার্য-কেই এগিয়ে রাখছেন। তাদের মতে তার কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন অধীরবাবু-র সভাপতি না হওয়ায় সম্ভাবনাই বেশি। কেননা তিনি কিছুতেই তাঁর গড় ধরে রাখতে পারছেন না। তাছাড়া তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের সংঘবদ্ধভাবে জোটের কথা বলেছেন। অন্যদিকে দল থেকে সমস্ত বিধায়ককে টেনে নিচ্ছে তৃণমূল, ফলে তাঁর সাথে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয়। আর ওদিকে আবার সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী-র সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ভালো ফলে যেখানে কংগ্রেস আগামী ২০১৯ এর মহা জোটের দিলকে তাকিয়ে এমন একজনকে নিশ্চয়ই বঙ্গের সভাপতি করবেন না যার জন্য মমতা ব্যানার্জীর সাথে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়। অন্যদিকে দীপা দাশমুন্সি-ও কংগ্রেসের সাম্প্রতিক প্লেনামে গিয়ে রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের সংঘবদ্ধভাবে জোটের কথা বলেছেন। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর-ও সম্পর্ক ভালো নয়। যদিও দলের নীচু স্তরের কর্মী-সমর্থকদের একটা বড় অংশ এ রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে আগ্রহী।তাই এই লড়াইয়ে নতুন সভাপতি হিসাবে দীপা দাশমুন্সি-কে তাদের পছন্দ। কিন্তু এখানেও সমস্যা একটাই বিজেপিকে আটকাতে ২০১৯ এর মহাজোট। ফলে কর্ণাটকের মতো বৃহত্তর স্বার্থে বাংলার স্বার্থকে না হয় সরিয়ে রাখলেন রাহুল। এদিকে এই দিকে প্রদীপ ভট্টাচার্য হলেন আদর্শ। যাঁর সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পর্ক ভালো তাদের সমর্থনে আবার রাজ্যসভায় সাংসদও হয়েছেন।পাশাপাশি সভাপতির পদও পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তা হলেও আর একটি নাম জল্পনা বাড়াচ্ছে। তিনি হলেন সোমেন মিত্র। শোনা যাচ্ছে রাহুল গান্ধী চাইছেন, এমন একজনকে দায়িত্ব দিতে, যাঁর নেতৃত্বে উজ্জীবিত হতে পারে কংগ্রেস। এই অবস্থায় ভরসা রাখতে চাইছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র-র উপরেই ।তার কারণ সারা রাজ্যে একটা জনসংযোগ রয়েছে তাঁর আর কোথাও না কোথাও এখনও তিনি রাজ্যে কংগ্রেসের একজন যোগ্য অভিভাবক। অন্যদিকে সাংগঠনিক দক্ষতাতেও তিনি অনেকের থেকে এগিয়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, সোমেন মিত্র প্রদেশের দায়িত্ব নিলে রাজ্য কংগ্রেসের ফের ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে  তৃণমূল কংগ্রেস ও হাইকমান্ডের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক সোমেন মিত্রের। এখন শুধু তাকিয়ে থাকা ভবিষ্যতের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!